পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে ড্রোন ওড়ানোর পরিকল্পনার খবর ভারতের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর ঢাকার পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়ার প্রেক্ষাপটে বুধবার তিনি একথা বলেন।
আখাউড়া স্থল বন্দর পরিদর্শনে যাওয়া পঙ্কজ সরণ সাংবাদিকদের বলেন, এই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
নৈশকালীন পাহারায় ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে বলে ভারতের একটি পত্রিকার রোববার খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়।
ঢাকার পক্ষ থেকে সোমবার নয়াদিল্লির কাছে এ বিষয় ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব আসেনি বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বুধবার জানিয়েছেন।
বিএসএফ প্রধানকে উদ্ধৃত করে মানববিহীন আকাশ যান ব্যবহারের খবর জানিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরস্ত্র ওই ড্রোন কেবল প্রতিপক্ষের ছবি তোলা ও তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করার কাজে ব্যবহৃত হবে।
তবে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন থেকে গোলাবর্ষণে হতাহতের কারণে এ নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিএসএফ মহাপরিচালক সুভাস জোসিকে উদ্ধৃত করে পিটিআই পরে জানায়, ড্রোন ব্যবহারের চিন্তা হলেও সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড প্রত্যাশিত নয় উল্লেখ করে তা কমিয়ে আনার বিষয়ে ভারত সরকারের অঙ্গীকারের কথা মনে করিয়ে পঙ্কজ বলেন, সীমান্ত বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত যৌথভাবে নেয়া হবে।
বুধবার ভারতের একটি প্রতিনিধি দলসহ নির্মাণাধীন আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন হাইকমিশনার। বন্দরের অবকাঠামোগত বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করে তিনি ত্রিপুরায় যান।
সেখানে তিনি নির্মাণাধীন আগরতলা স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন ভবনের কাজের অগ্রগতি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। ত্রিপুরা যাওয়ার সময় নো ম্যান্স ল্যান্ডে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ভারতীয় দূতের বন্দর পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ স্থল বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।