প্রযুক্তি সংবাদবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্যামকার তার এই প্রযুক্তির নাম দিয়েছেন ‘স্কাইজ্যাক’। নিজের ব্লগেই এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
ড্রোন দিয়েই ড্রোন হ্যাক করতে ক্যামকার ব্যবহার করেছেন ফরাসি ড্রোন নির্মাতা প্যারটের তৈরি ‘প্যারট এয়ার ড্রোন ২.০’। ড্রোনটিতে ক্যামকার যোগ করেছেন একটি রাসবেরি পাই কম্পিউটার, একটি ব্যাটারি, দুটি ওয়্যারলেস ট্রান্সমিটার এবং নিজস্ব সফটওয়্যার।
ক্যামকারের স্কাইজ্যাক ড্রোনের সীমানার মধ্যে অন্যকোনো ড্রোন আসলেই দ্বিতীয় ড্রোনটিকে চিহ্নিত করে সফটওয়্যারটি।
এরপর নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে দ্বিতীয় ড্রোনটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে নিজেই এর নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয় ক্যামকারের স্কাইজ্যাক ড্রোন।
ক্যামকারের স্কাইজ্যাক প্রযুক্তি দিয়ে আপাতত কেবল ‘প্যারট এআর ড্রোন ২.০’ হ্যাক করা যাবে। কিন্তু ক্যামকারের সফটওয়্যারটি এমনভাবে বানানো যে প্যারট ড্রোনের মতো যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে এমন যে কোনো ড্রোন হ্যাক করতেও ব্যবহার করা সম্ভব এটি।
স্কাইজ্যাক ড্রোন বানিয়ে পণ্য সরবরাহে ‘প্রাইম এয়ার ড্রোন’ ব্যবহারের সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলোর এখন যেন অ্যামাজনের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ক্যামকার। ড্রোনগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে চেইলে এই ঝুঁকির সমাধান খুঁজে বের করতে হবে অ্যামাজনকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।