এবিসি রেডিওতে প্রতি সপ্তায় হেলো ৮৯২০ নামের একটা অনুষ্টান প্রচার হয়। এই অনুষ্টানে মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা উপস্তাপন করা হয়। এখানে জীবনের সুখ-দু:খ, আনন্দ-বেদনা, কষ্ট, নষ্ট হওয়া, প্রতারিত হওয়া সহ জীবনের নানা কাহিনী বলা যায়। অনুষ্ঠানে কখনও অতিথির নাম পরিচয় গোপন রাখা হয। তবে অতিথির ইচ্ছায় সঠিক পরিচয়ও বলা হয়।
এসবই উপস্থাপক বলে থাকেন। সত্য মিথ্যা তানিই ভাল বলতে পারবেন।
যারা এবিসি রেডিওতে তাদের ঘটনা বলতে চান তাদের জন্য ফেজবুকে একটি পেজ আর ২৪ ঘন্টার জন্য একটি টেলিফোন ব্যবহার করা হয়। আগ্রহীরা ফোন অথবা ফেজবুক পেজে এসএমএস করে তাদের নাম ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে থাকেন। এরপর তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবিসির পক্ষ থেকে।
কথা হচ্ছে যারা স্বেচ্ছায় তাদের ঘটনা বলতে চান তাদের রাজি করানোর দরকার হয় না। কারণ তারা স্বেচ্ছায ঘটনা বলতে চান। শুধু এবিসি সময় দিলেই হল।
এখন প্রশ্ন হল তারা কি পণ্য না কি অতিথি?
উত্তর হবে তারা অবস্যই অতিথি। কিন্তু এবিসি তাদের পন্য হিসেবে দেখে।
ঘটনা হচ্ছে: বর্ষা নামের একজন মেয়ে এবিসিতে তার জীবনের ঘটনা বলেন। বর্ষা তার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলার এক পর্যায়ে বলেন, এ ঘটনা তিনি রেডিও নয় টিভির পর্দায়ও বলতে পারবেন। এতে তার কোন সমসা হবে না।
এরপর এবিসির উপস্থাপক কিবররিয়ার সাথে একটি টিভি চ্যানেলের একজন যোগাযোগ করেন বর্ষার মোবাইল নাম্বারে জন্য। তখন কিবরিয়া বলেন, এটা আমাদের (র প্রডাক্ট) এর নাম্বার দেওয়া যাবে না।
আর কর্তৃপক্ষ এ ধরনের নিজস্ব র প্রডাক্ট না দেওয়ার জন্য বলেছেন। এরপরও টিভি চ্যানেলের সেই ব্যক্তি কিবরিয়ার সাথে বেশ কয়েক বার যোগাযোগ করেছেন কিন্তু কিবিরয়া শেষ পর্যন্ত বলেন বর্ষা কথা বলবেন না। কিন্তু তিনি বর্ষার নাম্বার দেয়নি। এসময় তিনি বলেন, বর্ষার পেছনে বেষ কয়েক মাস ঘুরে তাকে রাজি করাতে হয়ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এবিসির কথা অনুযায়ি বর্ষ স্বেচ্ছায তার ঘটনা বলতে আগ্রহী হয়েছেন।
তাহলে তার পেছনে ঘুরতে হল কেন।
এতে একটা সন্দেহ জাগতেই পারে যে সব ঘটনা এবিসি প্রচার করছে তা কি সতি ঘটনা, না কি ঘটনা তৈরি করে তা কাউকে দিয়ে পাঠ করানো হয়। আর এভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করে এবিসি বানিজ্যিক ফযদা লুটে নিচ্ছে।
এই সেই কিবরিয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।