আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অমনিবাস : আমার কিছু পংতিমালা

অনেকের মাঝেও একা থাকা যায়, নি:সঙ্গতায় কারো অনুভব ছুঁয়ে যায় ...

ব্লগে অনেককে শব্দের সহিত খেলা করিতে দেখিয়া আমি অধম অভিভূত হইয়া যাই প্রায়শই। কতদিন ধরিয়া লিখিলে আমার প্রকাশ ওমন পোক্ত হইবে ? অপরদিকে মাঝে মাঝেই আমার ব্লগে কোন না কোন পোস্টের বিপরীতে কেহ কেহ কবিতা লিখিয়া যায় । কালপুরুষ'দার নাম এইখানে সবার আগে চলিয়া আসে । আহ্ ! আমাদের সেই চির চেনা বান্দর- উদাসী স্বপ্নকেও এইখানে স্বরণ না করিলেই নহে! তাহার বিশাল বিশাল কোবতে(কবিতা) দেখা যাইবে আমার অনেক পোস্টেই । ওই সকল পোস্টসমূহ যে তাত্ক্ষনিত প্রতিক্রিয়া স্বরূপ লিখিত হইয়াছিল তাহাতে কোনই দ্বিমত নাই।

অথচ কোনটি খুবই মজার , কোনটি খুব হৃদয় ভুলানো...অর্থ্যাত শব্দ লইয়া খেলিতে খেলিতে উহারা সকলেই যে একপ্রকার চারণ-কবি হইয়া গিয়াছেন, তাহা বুঝিতে আমার কিছু বাকি ছিল না! মনে মনে ভাবিতাম এইরকম কার্য বোধহয় আমা কর্তৃক সম্ভব হইবেনা কোনকালেই! হায়! আফসোস ! দ্বীর্ঘশ্বাস লুকাইতে চেষ্টা করিয়া যাইতেছিলাম শুধু। তবে একদিন সেই ক্ষণ আসিল, যতদূর মনে পড়িতেছে, কালপুরুষ'দার একখানা কবিতা পড়িতে গিয়া হৃয়দ গহীনে কিছু একটা নড়িয়া উঠিল; আর তাহাতেই চার খানা তাত্ক্ষনিক পংতি ছাড়িয়া আসিলাম কালপুরুষ'দার ব্লগে। প্রত্যুত্তরে কালপুরুষ'দা স্বাগত জানাইয়াই বিপদখানা ঘটাইলেন! যেই বস্তুটি সেইদিন হৃদয় গহীনে নড়িতেছিল তাহা এইবার মস্তিস্কে উদিত হইল পূর্ণমাত্রায়। তাহার পর কতিপয় ব্লগারদের পোস্ট পড়িয়া তাহাদের ব্লগেও মন্তব্য সরূপ কয়েকখানা পংতি ছাড়িয়া আসিতে শুরু করিলাম। আজিকে হঠাতই ঠাহর করিবার প্রচেষ্টা করিলাম সর্বসাকুল্যে এইরূপ তাত্ক্ষনিক পংতিমালার সংখ্যা কত হইতে পারে! ওইগুলিকে একত্রিত করিবার মনবাসনাও আসিল মনে।

নতুন কিছু লেখা হইতেছেনা অনেকদিন। তাই পুরাতন কাসুন্দিখানাই টেবিলে সাজাইয়া দিলাম। উল্লেখ্য আমি পাঠকগণের সুবিধার্থে ব্লগারদের পোস্টের লিংকখানাও প্রদান করিলাম। আমার কবিতাগুলোর নামকরণ করিবার প্রয়োজন আছে কিনা তা বোধগম্য হইতেছেনা; তাই আপাতত আসল লেখনির নামেই অলংকৃত করিলাম। আশা করি ইহা কপিরাইট নামক আইনি জটিলতায় জড়াইবেনা ।

বরং আমি সেই সকল ব্লগাদের আমার এই বিশেষ পোস্টটি উত্সর্গ করিলাম। ** ব্লগার : কালপুরুষ ১: নাগাল Click This Link কালপুরুষ'দার ব্লগে ইহাই আমার প্রথম কবিতা ছিল । বৃষ্টিতে পাই তোমার ছোঁয়া, হাওয়ায় গন্ধ তোমার, চাঁদপানা মুখটানেই ওঠে মন সাগরে জোয়ার । তুমি থাকো যোজন দূরে তোমার প্রহর গুনি, ধরার বুকে ঝরা পাতায়, তোমার পদধ্বনি শুনি। ২: কেন যাব Click This Link 'কেন যাব' পড়িতে পড়িতে বেশী মাত্রাতেই ভাবুক হইয়া গিয়াছিলাম।

তাই পূর্বের চাইতে এইবার ভাবের প্রকাশখানা অতীব দীর্ঘতর । এখানে তুমি, এখানে আমি, এখানে সাগর, ধু ধু মরুভূমি; তবু চলে যাব । এখানে হার কিনবা জিত, মনেতে হিংসা অথবা প্রীত; এসব ছেড়ে চলে যাব। এখানে বন্যা, এখানে খরা, জন্ম এখানে, এখানেই জরা; এখানে ক্ষমা , এখানে দন্ড, জীবন পূর্ণ কিনবা খন্ড; আর তাই চলে যাব। যতবারই বল না কেন, যেতে নাহি দিব হায়, আমি জানি, তুমিও জানো- তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।

**ব্লগার : সারওয়ার চৌধুরী ইনি আরেক জনপ্রিয়, বিশিষ্ট ব্লগার; অথচ আমার মস্তিস্কের সেই বস্তুটি এই জ্ঞানী মানুষটির ব্লগেও আমাকে গুটি কয়েক পংতি লিখিতে তাড়িত করিয়াছিল। সন্ধ্যা আমাকে কিছু অস্পষ্ট অন্ধকার দেবে Click This Link প্রখর রোদে কুঁচকে যাওয়া চোখে তোমার আদল বুঝতে পারিনা, অমাবশ্যায় চোখের রেটিনাতে তোমার প্রতিফলন হয়না ; তোমার কায়া স্পষ্ট হয়ে উঠে ওই সন্ধ্যে বেলাতেই, যখন চন্দ্র উদ্ভাসিত হতে হতে আর রবি অস্তাচলে যেতে যেতে, প্রণাম জানায় একে অন্যকে। **ব্লগার : কণা এখন পর্যন্ত দেখিতে গেলে ব্লগার কণা'র ইহাই সর্বশেষ পোস্ট। সেইদিন কণা ব্লগে কি লিখিবে বুঝিতে না পারিয়া বিচলিত হইয়া পোস্ট দিয়াছিল। উহার পর এখন পর্যন্ত তাহাকে আর দেখিলাম না।

কণা, কি হইল আপনার ? আমি লিখতে চাই!!! Click This Link "লক্ষী সোনা, চাঁদের কনা", ব্লগাইতে যে নেইকো মানা। লেখো তোমার নিজের কথা, কিনবা জ্যামে আটকে থাকা। যা খুশি তাই লিখতে থাকো, সবার ব্লগেও চোখটি রাখো। লিখলে ভাল ৫ যে পাবে, টপ রেটেড হলেও হবে। ভাবছ কি আর চুপটি বসে ? লিখতে থাকো সামহোয়্যার ব্লগে **ব্লগার : বিহংগ ধর্মভীরুতার কারণে আমরা যাহা প্রায়শই এড়াইয়া যাই, বিহংগ তাহা অবলীলায় প্রশ্ন করিয়া বসিলেন।

আমি সেই সুতোটাকেই একটুখানি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করিবার চেষ্টা করিয়াছিলাম মাত্র। প্রিয় গড যদি কিছু মনে না করেন Click This Link গড, তোমার লীলা বোঝা দায় আমাকে মানব রূপে পাঠালে দুনিয়ায় । ভবে এসে শিখলাম, জন্মই আমার আজন্ম পাপ, কীট নয় তো পশু হয়ে জন্মালে তা হতো পূর্ব জন্মের অভিশাপ। **ব্লগার : মানুষ হিরো মার্কা মুখশ্রীর এই ছোকড়াটি অল্পবয়স্ক হইলেও প্রায়শই তারছিড়া টাইপ পোস্ট দিয়া থাকে । সেইবার আমিও কিছু মাত্র বিলম্ব না করিয়া আমার মস্তিস্কের ঢলঢলে তারগুলি সমূলে ছিন্ন করিবার অতি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা করিয়া ফেলিলাম।

দ্বিতীয় ছায়া Click This Link চেয়েছিলাম তুমি আমার দ্বিতীয় ছায়া হবে, আমার ছায়া তোমাতে মিশে গাঢ়তা পাবে। কিন্তু তুমি কি নিঃস্তব্ধ, নিকষ আঁধার ? সর্বাগ্রে গ্রাস করলে ছায়া আমার । আমার এখন বড়ই প্রয়োজন জ্বলজ্বলে সূর্য ছায়াতেই যে আমার আমি, আমার অস্তিত্ব । **ব্লগার : আইরিন সুলতানা এই ব্লগারটি সর্ম্পকে আপনারা সকলেই জ্ঞাত আছেন। ১. তোমার রঙধনু... Click This Link ইহা আমার আগমনী পোস্ট ছিল ।

ওহ! এই পোস্টটি অনেকদিন পর পড়িতে গিয়া আবিস্কার করিলাম যে, সেই সময়ও আমি অবচেতনে একটিবার মন্তব্যের ঘরটিতে কয়েক লাইন লিখিয়াছিলাম!!! তবে সেই সাহস পরবর্তীতে বিলুপ্ত হইয়া শেষ পর্যন্ত পুনরোদ্ধিত হইয়াছে । এই ছ'খানা লাইন ব্লগার মোসতাকিম রাহী'র মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়া লিখিয়াছিলাম। কলম থেকে সব সময় কবিতা ঝরে না; বরং কালি, তাও নীল, নয়নে অশ্রু ঝরে না অহরহ টলটলে চোখে দেখ গভীর, শান্ত ঝিল। ২. ভার্চুয়্যাল মিষ্টিমুখ Click This Link ব্লগার সুমি সেই কবেই বলিয়াছিলেন দেশে আসিয়া যোগাযোগ করিবেন । তাহার পর সেই যে উধাও হইলেন , তার টিকিটিরও নাগাল পাহিলাম না।

কেহ কথা রাখিলনা ...! সুমি, সুমি, সুমি কেমন আছো তুমি ? এ্যাড করেছি তোমায়, ই-মেইল দিয়ো আমায়। কবে আসছো বল? ঘুরব দু'জন চলো, বসুন্ধরা সিটি, আইসক্রিম, কটকটি । ওই একই পোস্টে মৈথুনানন্দ'দা দুম্বার রোস্ট খাহিতে চাহিয়া আবদার করিলেন। তাহাকে শান্ত করিতে যাইয়া আবারো একখানা ক্ষুদ্র শব্দজাল ছড়াইয়া দিয়াছিলাম। যখন বেতন পাবো হাতে হাতে , তখন মিষ্টি পাবে পাতে পাতে ।

দুম্বার রোস্ট, দু'চাট্টে! উহু ! কোলেস্টোরেল বেশী ওতে। **ব্লগার : উদাসী স্বপ্ন খানিকটা ইচ্ছাকৃতভবেই এই ব্লগারটি সর্ম্পকে সর্বশেষে লিখিতেছি। এই স্বঘোষিত বান্দর সম্পর্কে আপনাদিগকে কিছুটি বলিবার প্রয়োজন দেখিতেছিনা। উদাসী'র সহিত আমার শুরু কিঞ্চিত তর্ক-বিতর্ক দিয়াই হইয়াছিল। আমারই এক পোস্টের বিপরীতে পরবর্তীতে আমরা দু'টিতে প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি লইয়া মহা বিতর্কে জড়াইয়া পড়িয়াছিলাম।

তবে তাহা ব্লগে একটি সুস্থতার সাক্ষর রাখিয়াছিল আশা করিতেছি। অন্যান্য সময় যেইখানে তিল হইতে তাল হইয়া কেহ কেহ ব্লগ ছাড়িয়া দেয়, কেহবা কাহাকে ব্যান করিয়া রাখে সেইখানে আমরা বরঞ্চ একে অন্যের ব্লগে নিয়মিত হইতে লাগিলাম। তবে তাহার প্রতিদান সরূপ আমারই ব্লগে নিয়মিত উদাসীর দীর্ঘ প্রলাপ সম্মৃদ্ধ কোবতে (কবিতা) গুলি আমাকেই হজম করিতে হইতেছে...আমিও আসলে চুপটি করিয়া বসিয়া থাকিবার পাত্রিটি নহে। উদাসী'র ব্লগেও উদাসী মার্কা পোস্ট রাখিয়া আসিবার চেষ্টা করিয়াছি এযাবত দুইবার। ১. উদাসনামা!!! উতসর্গ- চানাচুর: তুমি যেইখানে থাকো ব্লগে ফিরিয়া আসো, ব্লগে বড় কুড়মুড়ের অভাব!http://www.somewhereinblog.net/blog/fadeddreamsblog/28734082 উদাসী আবারো লিখছে একখান বিশাল কবিতা পড়তে গিয়ে পইড়া গেলাম চেয়ার-টেবিল থাইক্যা ।

কই থেকে কই, আমার মগজ উরা-ধুরা পুরা, নাচে উদাসী, নাকি তার পাগলা ঘোড়া ? ২. উদাসীর মনে অনেক দুস্ক! তার সান্ত্বনার বড়ই দরকার! তয় মাইয়া মানুষগো অগ্রাধিকার বেশী! Click This Link কাক ফাটা রোদ্দুর গুলশান-বনানী কদ্দূর ? সি.এন.জি ওয়ালা কয়, আফা, আপনে রোজা ? চাইয়া দেখি বেটার হাতে সিগারেটটা গোঁজা। শুনেন ভাই, ওই জিনিসটা পরেই খান, ধোঁয়ায় যাইব আমার জান! জ্যামে লাইফ বিপর্যস্ত পা দুইটাই অহন ব্যস্ত। পিজ্জা হাট ছাইড়া গেলাম, উদাসীরে স্বরণে পাইলাম। কামিজ একখান কেনাই দরকার, পাঞ্জাবীটা জোস হইসে ভাইয়ার। ওষ্ঠাগত হইল প্রাণ শপিং -এ পুরাই পেরেশান! এখন পর্যন্ত খুঁজিয়া খুঁজিয়া ইহাই পাইলাম।

আশা প্রকাশ করিতেছি ভবিষ্যতে কাহারো ব্লগ পড়িয়া পরানের গহীনে আনচান অনুভূতি হইলে সেইখানেও দু-চারটি পংতি ভেট সরূপ রাখিয়া যাইব। পুনশ্চ : এই পোস্টটিকে চাহিলে আজাইরা পোস্ট হিসাবে নিয়া ধর্তব্যের বাহিরে রাখিতে পারেন । তবে বলা বাহুল্য, আমার চিত্তে যে চাঞ্চল্য আমি নিজেই অবলোকন করিতেছি, তাহাতে ইহা আমার নিকট সুস্পষ্ট যে আমি অতিমাত্রায় পুলক অনুভব করিতেছি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।