মানুষ হবার প্রচেষ্টায় বৈচিত্র্যতার জন্য ইচ আদার পার্টনার শেয়ারিং পাশ্চাত্তে এখন বেশ কমন। একটি জুটিতে এক পার্টনার অপর পার্টনারের উপর সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত থেকেই যৌন বৈচিত্র্যতা এবং প্রেম বৈচিত্র্যতা লাভের জন্য অপর একটি জুটির পার্টনার দের সাথে শারীরিক ভাবে মিলিত হওয়াকে পার্টনার শেয়ারিং বলে। প্রকৃত পার্টনার শেয়ারিং তখনই হয় যখন প্রতেক পার্টনারের ঐ শেয়ারিং এ সম্মতি থাকে। নিজের পার্টনারকে জোর করে ব্যাক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করতে তার অনিচ্ছায় অন্নের সাথে শেয়ার করাকে কোন ভাবেই পার্টনার শেয়ারিং বলে না।
অনেকেই বলে বাঙ্গালী স্বভাবগত কারনেই একটু হিংসুটে প্রকৃতির।
নিজের পার্টনারকে বিপরীত লিঙ্গের অন্য কারো সাথে কথা বলতে দেখলেই যার বুক ফাইট্টা যায় সেই বাঙ্গালী কে দিয়ে আর যাইহোক পার্টনার শেয়ারিং এর কথা ভাবা যায় না। বাঙ্গালী তার নিজের পার্টনারকে নিজের সম্পত্তিই মনে করে যা বিয়ে নামক লিখিত বা অলিখিত চুক্তির মাধ্যমে আজীবন ভোগদখল করার অধিকার পেয়ে থাকে। বাঙ্গালী দের সম্পত্তি বড়ই অল্প, এই অল্প সম্পত্তি যেন কোন ভাবেই হাত ছাড়া না হয় সেব্যাপারে বাঙ্গালী সজাগ দৃষ্টি রাখে।
তবে এর ব্যাতিক্রম উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাকা গ্রামের দুই বন্ধু আনার (২৬) ও জাফর (২৭)। দুই বন্ধু হরিহর আত্মা।
দুজনেই বিবাহিত। একে অপরের বাসায় বেশী বেশী যাবার ফলে একে অপরের স্ত্রীকে ভালোবেসে ফেলেন। তাদের স্ত্রীগনও পাল্টা ভালোবাসে তাদেরকে। দুই বন্ধু সিদ্ধান্ত নিয়ে আনারের স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে আবু জাফর ও আবু জাফরের স্ত্রী লাইলী খাতুনকে আনার বিয়ে করে নতুন করে ঘর সংসার শুরু করে। এই বিয়েতে গ্রামে দারুন সমালোচনা হলেও তাদের ৪ জনার মত ছিল বলেই সব কিছু সম্ভব হয়েছে।
সম্ভবত বিয়ে ছাড়া তাদের ঐ পরিবেশে অন্য কিছু চিন্তা করাটা অনেকটাই অসম্ভব ছিল। পরবর্তীতে ১ বছরের মাথায় আবার তারা বউ পাল্টায়। সর্বশেষ যে যার প্রথম বারের বিয়ে করা সঙ্গী নিয়ে থাকলেও বাধা নেই দ্বিতীয় বারের বিবাহিত সঙ্গীর কাছে যেতে। বাংলাদেশের কোন এক গ্রামে এটি ভাবাই যায় না।
বিস্তারিত - এখানে ক্লিক করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।