অনেক দিন ব্লগে আসতে পারিনি আলপিন নিয়ে অনেক কথা শুনলাম। তাই একটু বলতে ইচ্ছে হল। আসুন আলপনটিা কোথায় কিভাবে ঢুকল তা একটু খুজে দেখি।
বাংলাদেশের তথাকথিত ধর্মিয় নেতাদের মতে মুসলমানের নামের আগে মোহাম্মদ ব্যবহার করতে হয়। মুসলিম নাম বলতে আরবী শব্দ থেকে অর্থবোধক শব্দ বাছাই করা নামকেই আমরা মুসলিম নাম বলে থাকি।
আরবীর অর্থবোধক শব্দের কিছু নামের নমুনা পেশ করা গেল:
মোহাম্মদ বকর: বকর মানে উটের বাচ্ছা
তাহলে নামের বাংলায় মানে হল মোহাম্মদ উটের বাচ্চা
মোহাম্মদ ফহাদ: ফহাদ মানে বনবিড়াল বা পেন্থার
মানে হল মোহাম্মদ বনবিড়াল
মোহাম্মদ হায়দার: হায়দার মানে সিংহ
অর্থ হল মোহাম্মদ সিংহ
মোহাম্মদ জামাল: জামাল মানে উট
মোহাম্মদ ওসমান: ওসমান মানে সিংহ
এমন ভুরি ভরি নাম আছে যার মানে অনেক পশু পাখির নাম। পাঠক লক্ষ্য করুন, উপরের নামগুলোর আগে মোহাম্মদ লিখলে অর্থ কি দাড়ায়? তার মানে উট, উটের বাচ্চা,সিংহ,বনবিড়াল সবই লেখা যায়েজ। মোহাম্মদ কদুও লিখা যাবে। তাতে কিছু যায় আসেনা। শুধু বিড়াল লিখা যাবেনা।
তাহলেই আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অনু-ভুত-ই-তে আঘাত করবে। আলপিন ঢুকে যাবে। তাদের অনুভুতিতে আঘাত মানে লংকাকান্ড বেধে যাওয়া!
আমাদের নির্দলীয় তত্বাবদায়ক সরকার নিরব। যেখানে কোন সভাসমিতি করা নিষেধ,রাস্তায় কোন প্রসেশন করা নিষেধ সেখানে এই ধর্মপ্রান হাজার হাজার মুসল্লিরা পুলিশের সাথে যুদ্ব করে ধর্ম রক্ষার্থে প্রথম আলো অফিসকে পুড়িয়ে দিতে জিহাতে লিপ্ত। কোন পুলিশের রগ কাটা গেছে বলে শোনা যায়নি তবে যথেষ্ট পরিমানে জখম হয়েছে।
তাদের কাছে এটা ধর্ম রক্ষার যুদ্ব। যুদ্বের ফলাফল দেখে মনে হয় এই এজেন্টরা যথেষ্ট শক্তিশালি। তারা প্রমান করতে চায় তারা কত শক্তিশালি।
এই যুদ্বটা শুরু হয়েছে যখন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি দাবী করলেন জামাতে ইসলামী ধর্মের নামে ভন্ডামী করছে। এই রাজনৈতিক দলকে স্বীকৃতি না দেবার দাবী জানালেন।
তারা তখন ইসলাম রক্ষার যুদ্বে মাঠ গরম করতে শুরু করল। বঙ্গবীরের দাবী চাপা পড়ে গেল।
কাদিয়ানী মুসলমান না অমুসলমান তা নির্ধারনের দায়িত্বও এই ধর্মপ্রান মুসল্লিদের। তাই তারা ঠান্ডা মাথায় কাদিয়ানীকে ঘরছাড়া করেছে, খুন করেছে, সম্পদ লুট করেছে। সে সব অবিচারের বিচার হয়েছে বলে শোনা যায়নি।
অতীতেও দেখা গেছে সুযোগ বুঝে তারা ফায়দা লুটেছে। দেশের সমস্ত সম্পদ যখন রাজনৈতিক তস্কররা ভাগ করে লুট করছিল তখন বিশ্বের দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রের তালিকায় পর পর কয়েকবার চ্যাম্পিয়ান হয়েছে আমাদের স্বাধীন করা বাংলাদেশ। তখন তারা বলেছিল একটি মহলের কারসাজিতে এসব রিপোর্ট হয়েছে। দেশের ভাবমূত্র্ িনষ্ট করার জন্য সেই মহলটি দায়ী। তারা তখন দেশের ভাব আর মূর্তি রক্ষার জন্য নতুন আইনও তৈরি করেছে আর সেই আইনে এখন কে কেমন আছে দেশের মানুষ জানে।
সংবিধান রক্ষার জন্য দেশকে যখন একটা মহা বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল তখন সেই ক্রান্তিলগ্নে ফখরুদ্দিন সরকার তার ভাব আর মূর্তি নিয়ে আর্বিভুত হন। বর্তমানে এই ভাব আর মূর্তির প্রতি জনগনের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বর্তমান সরকার এই মুসল্লিদের ভয় পাচ্ছে নাকি মদদ দিচ্ছে। সরকারের উচিত আলপিনটা কিভাবে কোথায় ঢুকল তা খুজে বের করা। যাদের পাছায় আলপিন আদৈা ঢুকেনি তাদের সমুচিত শাস্তি দেয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।