আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা শহরের যানজট নিয়ন্ত্রন। ১২টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব, কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন কি?

যেতে চাও যাবে, আকাশও দিগন্তে বাঁধা, কোথায় পালাবে!

ঢাকা যেভাবে অ-পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে তাতে যানজট কমানোটা কঠিন। কিন্তু কিছু কিছু পদক্ষেপ নিলে কিছুটা কমানো যাবে। এখানে আমি ১২ টি পদক্ষেপ এর কথা বলছি, আমি যদিও নগর পরিকল্পনাবিদ নই তবুও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার নিরিখে বলছি। এখনে সময় আছে নাহলে ভবিষ্যতে ঢাকাকে পরিত্যক্ত নগরী হিসাবে ঘোষনা করতে হতে পারে। ১।

ছোট - ছোট মিনিবাস তুলে দিয়ে ৫২ সিটের বাস ও দোতলা বাস চালু করা। ২। মুল ঢাকার কিছু অংশে ছুটির দিন ব্যতীত অফিস সময়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করলে "কনজেশন চার্জ" আরোপ করা। এটি দৈনিক ভিত্তিতে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এর ফলে সবাই পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারে আগ্রহী হবে এবং জটের পরিমান অনেক কমে যাবে।

৩। মুল সড়ক থেকে রিকশা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা। ট্রাক ও ঠেলাগাড়ি কেবলমাত্র রাত্র ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেয়া। ৪। বর্ধিত ঢাকার সাথে মুল ঢাকাতে চলাচলের জন্য অধিক সংখ্যক বাইপাস সড়ক নির্মান।

এর জন্য প্রয়োজনে কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়ে হলেও রাস্তা নির্মানের জন্য জমি অধিগ্রহন করা। ৫। প্রধান প্রধান স্কুল গুলির পার্শ্বের রাস্তাগুলি একমুখী করা এবং স্কুল এর সামনে সকল ধরণের পার্কিং নিষিদ্ধ করা। ৬। রাস্তা গুলিকে দখলমুক্ত করা (বিশেষ করে পুরাতন ঢাকায়)।

বর্তমানে অনেক ক্ষেত্র মুল রাস্তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ যান চলাচলের জন্য ব্যবহার করা হয়। ৭। মিরপুর - যাত্রাবাড়ী, উত্তরা - যাত্রাবাড়ী এবং বসুন্ধরা - যাত্রাবাড়ী, গাবতলী-মোহাম্মদপুর-নিলক্ষেত-যাত্রাবাড়ী এই চারটি রুটে লাইট রেলওয়ে স্থাপন যার স্টপেজ থাকবে প্রতি ১ কি. মি পরপর। সরকার এ ব্যাপারে সঠিক উদ্যোগ নিলে অর্থ সংস্থান বড় সমস্যা নয় এবং অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বানিজ্যিকভাবে এটি পরিচালনা করতে আগ্রহী হবে। ৮।

নিজস্ব পার্কিং ছাড়া সকল মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া ও প্রয়োজনে লোন দিয়ে হলেও নিজস্ব পার্কিং স্পেস তৈরী করতে মার্কেট গুলিকে সাহায্য করা। ৯। জনসাধারনকে স্বল্প দূরত্বে যাতায়তের জন্য পায়ে হাটাকে উত্সাহিত করা। এজন্য স্বল্প দূরত্বের বাস/টেক্সী ভাড়া লম্বা দূরত্বের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশী রাখা যেতে পারে। ১০।

মুল ঢাকাতে নতুন নতুন অফিস স্পেসের অনুমোদন কমিয়ে দিয়ে ঢাকার বহিরাংশে যেমন উত্তরা, সাভার কিংবা বসুন্ধরা প্রভৃতি অংশে অফিস স্পেস অনুমোদনে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা ও উত্সাহ দেয়া। ১১। রাস্তা নির্মাণ ও সংরক্ষণ বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেওয়া। নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান নির্মান পরবর্তী একটি নির্দিষ্ট সময় রাস্তা মেরামতের জন্য দায়ী থাকবে। এক্ষত্রে রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার বন্ধ হবে এবং রাস্তা চলাচল উপযোগী থাকবে ফলে যানজট কম হবে।

১২। ডেসা, ওয়াসা, টি এন্ড টি র মত পাবলিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের ভিতর সমন্বয়সাধন করা যাতে রাস্তা অ-প্রয়োজনীয়ভাবে একের অধিকবার খোড়াখুড়ি করতে না হয়। আপনারা মতামত জানাবেন আর যদি কেউ থাকেন যার কানেকশান ভালো এবং জায়গামত ব্যাপারগুলি পৌছে দিত পারবেন তাহলে কৃতজ্ঞ থাকবো (অবশ্যই যদি প্রস্তাবগুলি গ্রহণযোগ্য মনে হয়)।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.