যুক্তরাজ্য সফর শেষে বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদ ব্রিফিং করে ওই হামলার ঘটনা সম্পর্কে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন জাসদ সভাপতি ইনু।
লন্ডনে এক টক শোতে অংশ নিতে সোমবার রাতে টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার স্টুডিওর বাইরে হামলার মুখে পড়েন তথ্যমন্ত্রী। দুই যুবক মন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তোলার কথা বলে মন্ত্রীর কাছাকাছি গিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা করতে উদ্যত হয়।
এরপর এটিএন বাংলার কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরাপত্তাকর্মী ও লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রোটোকল অফিসার এগিয়ে গেলে তাদের সঙ্গে দুই যুবকের ‘ধস্তাধস্তি’ হয়। এক পর্যায়ে দুই দুর্বৃত্ত দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
ওই ঘটনাকে একটি ‘পলিটিক্যাল অ্যাটাক’ হিসাবে উল্লেখ করে ঢাকায় পৌঁছে ইনু বলেন, “জামায়াত, জঙ্গিবাদ, তেঁতুল হুজুর (হেফাজত নেতা আহমেদ শফী) ও তাদের দোসর বিএনপি- এই চক্রটি এ হামলা চালিয়েছে বলে আমি মনে করি।
“এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা, কারণ ব্যক্তিগত বা কোনো পরিবারিক শত্রু সেখানে আমার নেই। ”
তথ্যমন্ত্রী মনে করেন, লন্ডনের ওই ঘটনা গণমাধ্যমের ওপরও হামলা।
“যারাই আক্রমণটি করেছে, তারা গণতন্ত্র, ভিন্নমত ও আইনের শাসনের ধার ধারে না। এই চক্রটি গণতন্ত্রের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের বিভিন্ন নাশকতার ঘটনার পর জাসদ সভাপতি ইনু তথ্যমন্ত্রী হিসাবে সাংবাদিকদের সামনে আসেন এবং সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালানোর মধ্য দিয়ে জামায়াত-শিবির ‘সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গিবাদী’ দল হিসেবে ‘আত্মপ্রকাশ করছে’ বলে এসব সংবাদ সম্মেলনে তিনি মন্তব্য করেন। গত মে মাসে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব ও তার পেছনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ‘ইন্ধন’ থাকার তথ্যও সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
লন্ডনের হামলা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “সিসিটিভির মাধ্যমে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে মনে হয।
এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।
সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা পৌঁছানোর পর নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগেই সকাল ৯টায় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তথ্যমন্ত্রীর এই ব্রিফিং শুরু হয়।
এর আগে টার্মিনালের বাইরে জাসদ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তারা মন্ত্রীর ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।