আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭১-এর গোপন দলিল-৪

সতর্ক করন " জামাত শিবির , যে কোন রকমের মৌলবাদী, ধর্ম ব্যাবসাই ও বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত সকল জানয়ারের প্রবেশ নিষেধ" পূর্ব পাকিস্তান সরকার স্বরাষ্ট্র (রাজনৈতিক) অধিদপ্তর সেকশন ১ পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের পাক্ষিক গোপন প্রতিবেদন ১-রাজনৈতিক ১. বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং শিক্ষক-আইনজীবীরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এটাকে ভারতের দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণা হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন। ২. জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং ভারতের দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণার পাল্টা জবাব দিতে মৌলভী ফরিদ আহমদ (পিডিপি) ও মওলানা নূরুজ্জামানকে (আইআরপি) যথাক্রমে সভাপতি ও মহাসচিব করে নয় সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩. ঢাকার বায়তুল মোকাররমের সামনে ১৩-৪-৭১ তারিখ বিকালে নাগরিক শান্তি কমিটি, ঢাকার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিবাদ ও শান্তি সমাবেশ (২৫০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা নগরীর বিভিন্ন স্থানের জনতা মিছিলে অংশ নেয়। তারা জাতীয় পতাকা, প্ল্যাকার্ড, কায়েদে আজম ও কায়েদে মিল্লাতের ছবি বহন করে এবং ভারতীয় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়।

ট্রাকবহরে আদমজীনগর থেকে শিল্প-শ্রমিকরা এসে সমাবেশে অংশ নেয়। সমাবেশের পর অনুষ্ঠিত মিছিলে (৩৫০০০) নেতৃত্ব দেন খাজা খায়রুদ্দীন (সিএমএল), এ.কিউ.এম. শফিকুল ইসলাম (সিএমএল), লায়েক সিদ্দিকী (সিএমএল), অধ্যাপক গোলাম আযম (জেআই), এ.এস.এম. সুলাইমান (কেএসপি), মৌলভী ফরিদ আহমদ (পিডিপি), আবদুল জব্বার খাদ্দার (পিডিপি) এবং মওলানা নূরুজ্জামান (আইআরপি)। খান এ. সবুর (পিএমএল) পরে মিছিলে যোগ দেন। মিছিলটি ঢাকা নগরীর বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, জাতীয় পতাকা ও কায়েদে আযমের ছবি বহন করে মিছিলকারীরা স্লোগান দেয় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’, ‘ভারতীয় সম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক’, ‘ভারতের দালালি চলবে না’, ‘বাঙালি বিহারি ভাই ভাই’, ‘পাক আর্মি জিন্দাবাদ’, ‘পূর্ব পশ্চিম এক পাকিস্তান’ ইত্যাদি।

নিউ মার্কেটের কাছে মিছিল শেষ হলে সেখানে অধ্যাপক গোলাম আযম পাকিস্তানের অখণ্ডতা ও জনগণের ঐক্যের জন্য বিশেষ প্রার্থনা পরিচালনা করেন। ‘ক্রাশ ইন্ডিয়া’ লেখা পিএমএলের পোস্টার দেখা গেছে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ও যানবাহনের গায়ে। ৪. ইস্ট পাকিস্তান পিস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার স্টিয়ারিং কমিটির এক সভা ১৪-৪-৭১ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি মৌলভী ফরিদ আহমদ (পিডিপি) এতে সভাপতিত্ব করেন। কমিটির নয়জন সদস্যের সবাই ইসলাম ও পাকিস্তানের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য আত্মত্যাগের শপথ নেন।

জনগণের মধ্যে আস্থা ও প্রদেশে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা এবং ভারতীয় নীলনকশা ও আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ে জনগণকে সংগঠিত করার নীতি ও কর্মসূচির রূপরেখা এ সভায় গৃহীত হয়। ৫.সম্প্রতি গঠিত নাগরিক শান্তি কমিটির নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি রাখা হয়েছে। ২১ সদস্যের এ কমিটির আহ্বায়ক খাজা খায়রুদ্দীন। ৬. ‘পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র বিপ্লবের পথে আগাইয়া আসুন’ শিরোনামযুক্ত পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সাইক্লস্টাইলকৃত একটি লিফলেট ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ঢাকায় গোপনে বিলি করা হয়েছে। এতে পূর্ব বাংলার জনগণকে তাদের বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য প্রশংসা করা হয়েছে।

‘বন্দুকের নলই রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস’ মাও সে-তুংয়ের এই উদ্ধৃতি দিয়ে গণমুক্তি বাহিনী গড়ে তোলার আহ্বান জানা হয়েছে লিফলেটে। ৭. ‘আঘাত হানো সশস্ত্র বিপ্লব শুরু কর, জনতার স্বাধীন পূর্ব বাংলা কায়েম কর’ শিরোনামযুক্ত আরেকটি লিফলেট ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে গোপনে বিলি করা হয়েছে সিলেটে। কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের সমন্বয় কমিটি, পূর্ব বাংলা এ লিফলেট বিলি করে। এতে পূর্ব বাংলার কৃষকদের প্রতি গেরিলা যুদ্ধ শুরুর ও শাসক গোষ্ঠীর হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান হয়েছে। এছাড়া মুক্তাঞ্চল গঠন ও স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনের আহ্বানও জানান হয়।

৮. ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলনের বিপ্লবী কমিটির বাংলায় লেখা প্রচারপত্র ‘লাল ঝাণ্ডা’, তৃতীয় বর্ষ, প্রথম সংখ্যা গোপনে বিলি করা হয়েছে পার্টিকর্মীদের মধ্যে। ওই প্রচারপত্রে পার্টির নেতৃত্ব, কমিউনিস্ট কর্মীদের কর্তব্য, নির্বাচনোত্তর রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যাদি নিয়ে একগুচ্ছ নিবন্ধ মূদ্রিত হয়েছে। উপসংহারে এতে কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ-মাও সে তুং চিন্তাধারা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান হয়েছে। ৯. ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলনের বিপ্লবী কমিটির ‘গেরিলা যুদ্ধের রণনীতি ও রণকৌশল’ শিরোনামযুক্ত বাংলায় লেখা আরেকটি প্রচারপুস্তিকা গোপনে বিলি করা হয়েছে পার্টিকর্মীদের মধ্যে। গেরিলা ইউনিট গঠন, হামলার লক্ষ্য ও কৌশল, শৃঙ্খলা, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি, গেরিলাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ জোগাড় ইত্যাদি বিষয় এ পুস্তিকায় তুলে ধরা হয়েছে।

১০. ‘পূর্ব বাংলার শ্রমিক আন্দোলনের কর্মীদের উদ্দেশে পূর্ব বাংলার শ্রমিক আন্দোলনের বিপ্লবী পরিষদের আহ্বান’ শিরোনামে পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলনের একটি লিফলেট পার্টিকর্মীদের মধ্যে গোপনে বিলি করা হয়েছে। তাদের প্রতি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আত্মত্যাগ, দেশ মুক্ত করতে গৃহযুদ্ধ শুরুর জন্য গ্রামসমূহে গেরিলা স্কোয়াড ও ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানান হয়েছে। ১১. ইস্ট পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির (রুশপন্থী) কেন্দ্রীয় কমিটি ‘নির্বাচনের প্রাথমিক পর্যালোচনা’ নামে গত ডিসেম্বর মাসে বাংলাভাষায় একটি প্রচারণাপত্র পার্টিকর্মীদের মধ্যে বিলি করে। এতে জনগণের বিরুদ্ধে শাসক গোষ্ঠীর ‘চক্রান্ত’ নস্যাৎ করে দিতে বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহের ঐক্যের আহ্বান জানান হয়েছে। ১২. বাংলা ভাষায় মূদ্রিত আরেকটি প্রচারণাপত্রের শিরোনাম ‘নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে আমাদের কয়েকটি আশু কর্তব্য’।

ইস্ট পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির (রুশপন্থী) কেন্দ্রীয় কমিটির এই প্রচারণাপত্রে বলা হয়েছে, দেশের ভবিষ্যৎ সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে এই নীতিমালায়- (১) ভাষার ভিত্তিতে পাঁচ জাতির স্বায়ত্তশাসন ও বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার প্রদান। (২) প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও মূদ্রা ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রেখে বাকি সমস্ত ক্ষমতা পাঁচ অঞ্চলের সরকারের কাছে হস্তান্তর। (৩) গোত্র-বর্ণ নির্বিশেষে জনগণের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রদান। (৪) পাকিস্তানকে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা। ২ -পূর্ব পাকিস্তানের পত্র-পত্রিকা ১৩. পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের অনাহুত হস্তক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তানের সমস্ত সংবাদপত্র তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

দি পাকিস্তান অবজার্ভার (১৩-৪-৭১) লিখেছে,‘গোলমেলে প্রচারণার মাধ্যমে ভারতের সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য হল একটা অস্থির ও অনিশ্চিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, বিশ্বের সাম্প্রতিক ইতিহাস থেকে দেখা যায় যা আসলে সশস্ত্র হস্তক্ষেপের ভূমিকামাত্র। আজকের দিনে সর্বাগ্রে প্রয়োজন স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং সাধারণ মানবিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা পুনরুজ্জীবিত করা। কিন্তু তা বিঘ্নিত হচ্ছে ভারতীয় প্রচারণায়, বিশেষ করে ভারতের কর্মকাণ্ডে। ’ পূর্ব দেশ (৫-৪-৭১) লিখেছে,‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত শুধু মিথ্যা প্রচারণাই চালাচ্ছে না, সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের পাঠিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অশেষ দুর্ভোগ সৃষ্টির চেষ্টাও চালাচ্ছে। ’ ১৪. যেকোন প্রকার সম্ভাব্য ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে দেওয়া চীনের সাম্প্রতিক আশ্বাসের ভুয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।

দি মর্নিং নিউজ (১৪-৪-৭১) লিখেছে,‘চীন এমন এক সময়ে পাকিস্তানের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ব্যক্ত করল, যখন ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শত্রুতাপূর্ণ প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে শুধু তাই নয়, সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী পাঠিয়ে ও অস্ত্রশস্ত্র পাচার করে এই প্রদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। ১৯৬৫ সালে চীনের সহযোগিতার কথা পাকিস্তানের জনগণ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। পাকিস্তানের জন্য চীনের উদ্বেগ ও ঊষ্ণ বন্ধুত্বকে উচ্চমূল্য দেয় এ দেশের জনগণ। ’ ১৫. ঢাকায় নাগরিক শান্তি কমিটি গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে সংবাদপত্রসমূহ। দি মর্নিং নিউজ, আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, পূর্ব দেশ ও পয়গাম আশা প্রকাশ করেছে, যে এই কমিটি তাদের পূর্ণ সমর্থন জোগাবে যাদের কাছে দেশের স্বার্থই সবচেয়ে বড়।

১৬. সমগ্র সংবাদপত্রমহল প্রদেশে দ্রুততার সঙ্গে আবারও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরম্ভের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। দি পাকিস্তান অবজার্ভার (৮-৪-৭১) লিখেছে,‘দীর্ঘদিন শিল্প-কারখানা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্থাপনায় কাজ বন্ধ থাকায় যে অকল্পনীয় ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সবাইকে ত্যাগের মনোভাবে কাজ করতে হবে যতটুকু সাধ্যে কুলায় তার চেয়েও বেশি। ব্যাপক বেকারত্ব ও চাহিদার সংকট মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে অধিক পরিমাণ পণ্য উৎপাদন করতে হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী সেবা সহজলভ্য করতে হবে। আমাদের কোনও সন্দেহ নেই যে এই পূর্ব-শর্ত সম্পর্কে সকল মহল সচেতন আছে। ’ ৩-যুব ও ছাত্র বিষয়ক ১৭. ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন স্থগিত ঘোষণার পর ১-৩-৭১ তারিখ থেকে ঢাকা ও প্রদেশের অন্যান্য স্থানের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কার্যত বন্ধ রয়েছে।

পরবর্তীতে, বিভিন্ন হল ও হোস্টেলের অধিকাংশ ছাত্র ২৫-৩-৭১ তারিখের পর ঢাকার বাইরে চলে যায় যখন সরকার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। এর পর থেকে ঢাকায় ছাত্রদের লক্ষনীয় কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি। ১৮. ইস্ট পাকিস্তান ইসলামিক ছাত্র সংঘ (ইপিআইসিএস) ও ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন (এনএসএফ) নেতৃবৃন্দ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপের নিন্দা করেছেন এবং এ বিষয়ে সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়েছেন। ৪-শ্রমিক বিষয়ক ১৯. সান্ধ্য আইন জারির ফলে ঢাকা জেলার কিছু এলাকায় যেসব মিল-কারখানা ২৬-৩-৭১ তারিখ থেকে বন্ধ ছিল, সান্ধ্য আইন শিথিল করায় ও স্বাভাবিকতা ফিরে আসায় সামান্যসংখ্যক শ্রমিকের উপস্থিতিতে সেগুলো ক্রমান্বয়ে কাজ শুরু করেছে। ৫-সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি ২০. প্রদেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে।

৬-আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ২১. অপরাধ পরিস্থিতির সঠিক চিত্র পাওয়া সম্ভব হয়নি। আগের বছর একই সময়ে ১২০টি ডাকাতির বিপরীতে চলতি পক্ষকালে মাত্র একটি ডাকাতির খবর জানা গেছে ঢাকা জেলা থেকে। ৭-অর্থনীতি, চাষাবাদ ও জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি ২২. জনগণের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখনও অসন্তোষজনক রয়েছে। কর্মসংস্থান পরিস্থিতিরও কোনও উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

২৩. যোগাযোগহীনতা ও খোলাবাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ধান-চালের মূল্য বেড়েই চলেছে। ঢাকা জেলায় মোটা চালের দাম প্রতি মণ ৪৫ থেকে ৫২ টাকা এবং কুমিল্লা জেলায় ৫৬ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ২৪. ঢাকার বাজারে সরিষার তেল বিক্রি হয়েছে প্রতি সের ৫.২৫ টাকা থেকে ৬ টাকা এবং সয়াবিন তেল ৪.৫০ টাকা থেকে ৫.১২ টাকা দরে। যোগাযোগের সংকটে ঢাকার বাজারে চিনির সরবরাহে ঘাটতি ছিল। ২৫. জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক।

এম. এম. হক সচিব পূর্ব পাকিস্তান সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ঢাকাটাইমস/পি/পি/১২.৫৯ ঘ.) Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.