৭১-এ লুঙ্গি পড়া মোল্লারা কি বলেছে তার জন্য বিশ্ব মানুষের কল্যাণের তরে আগত শাশ্বত জীবন বিধান ইসলামকে দায়ী করা- বড়ই দুঃখজনক। ইসলাম এসেছে মানুষকে আলোর পথ দেখাতে। এ পৃথিবীর স্রষ্টা পৃথিবীকে সৃষ্টি করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি সৃষ্টিকে অন্ধভাবে ছেড়ে দেননি, বরং তাদের জন্য নিজের পক্ষ থেকে পথচলার গাইড লাইন দিয়েছেন যেন সৃষ্টি অন্ধকারে পথ খুঁজতে গিয়ে ঘাটে ঘাটে টক্কর না খায়। এটি তো মানুষের জন্য আশীর্বাদ।
মানুষের জন্য শুকরিয়া জানানোর বিষয় যে সে পথ চলার টর্চ পেয়েছে, তার প্রভু তার জন্য সহজ সরল পথ দেখিয়েছেন।
এ জটিল পৃথিবীর আদি অন্ত যিনি জানেন, এ পৃথিবীকে যিনি নিয়ন্ত্রণ করেন, সেই মহাশক্তিমানের পক্ষ থেকে আসা গাইড লাইন- এতো মানুষের জন্য পরম পাওয়া। আল্লাহ তায়ালা নিজে বলেছেন- সূরা নং ৩, সূরা আল আরাফ, আয়াত ১৬৪:
"আল্লাহ বিশ্বাসীদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এভাবে যে তিনি তাদেরই মধ্য থেকে একজন নবী পাঠিয়েছেন, যে আল্লাহর আয়াত তাদেরকে শোনায়, তাদের জীবনকে পরিশুদ্ধ ও সুবিন্যাস্ত করে, এবং তাদেরকে কিতাব ও জ্ঞান শিক্ষা দেয়। "
আফসোস, কতিপয় স্বার্থান্বেষী সেই ইসলামকে হেয় করার জন্য ইচ্ছেমত বিকৃতভাবে একে মানুষের মাঝে উপস্থাপন করে। পৃথিবীতে কোন জিনিস বেশি নকল হয়- অবশ্যই সেই জিনিস যা বেশি মূল্যবান ও খাঁটি। এর দায়ভার কি সেই খাঁটি জিনিসের? নকল তো পাঁচশত টাকাই হয়, পাঁচটাকার নোট নয়, দোষ কি পাঁচশত টাকার? ইসলামের আশ্রয়ে থেকে অপকর্ম যারা করে তারা তো এজন্যই করে যে ইসলাম সর্বাধিক নিখাদঁ যার আশ্রয়ে এ অপকর্মের বৈধতা পাওয়া যদি পাওয়া যায়।
আমরা সর্বশক্তিমান মালিকের দেয়া জীবন বিধান অনুসরণ করে পার্থিব ও পারলৌকিক উভয় জীবনে সফল হতে চাই। সুতরাং আসুন, ইসলামকে জানি এবং একে ব্যবহার করে যারা অপকর্ম করে তাদের মুখোশ খুলে দেই। একই সাথে যে কোন অপকর্মের মাঝে যারা ইসলামের সম্পর্ক খুঁজে দোষ চাপাতে চায় তাদের মুখোশও উম্মোচিত করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।