আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আধুনিক কবিন্দ্র কর্তৃক সোনার তরী কবিতার ছয়চাষ(প্যারোডি) করা হল। “আমার সোনার ঘুম”

যা বিশ্বাস করি না, তা লিখতে-বলতে চাই না, পারবোও না। কিন্তু যা বিশ্বাস করি, তা মুখ চেপে ধরলেও বলবো, কলম কেড়ে নিলেও লিখবো, মারলেও বলবো, কাটলেও বলবো, রক্তাক্ত করলেও বলবো। আমার রক্ত বরং ঝরিয়েই দাও, ওদের প্রতিটি বিন্দুর চিৎকার আরও প্রবল শূনতে পাবে। --------------------------আমার সোনার ঘুম------------------------- লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(একেবারেই মিছা কথা, বিশ্বাস যাইয়েন না) প্রভাতে গরজে ওঠেন বাবা সহসা, একা আমি আছি শুয়ে, নাহি ভরসা। ঘুমে কাবু, মাত্রাছাড়া, লাগছে খুবই দিশেহারা, জেগে ওঠার নেই তাড়া সবই দুরাশা— ঘুমুতে ঘুমুতে বেলা হলো সহসা! একখানি ছোট বেড, আমি একেলা— উপরেতে ফ্যানখানি করিছে খেলা।

চোখ খুলে চাহি বাঁকা, মোবাইলটা পাশে রাখা, জানালাটা পর্দা ঢাকা উফ! প্রভাতবেলা— এই আমার ছোট বেড, আমি একেলা। দিবা টু সন্ধ্যা আড্ডা মেরে, প্রভাতে কি আর উঠতে পারে? ক্ষণগুলো চলে যায়, : ঘুম কেন এতো পায়, শুয়ে থাকি নিরুপায় ডেকোনা মোরে— এয়েছি দিবা-সন্ধ্যা আড্ডা মেরে। ওগো, তুমি কৈ যাও, আসোনা পাশে। স্বপ্নে ডাকছে কোনো অপ্সরী এসে। যেওনা কভু কোথাও, আমার বুকে হারিয়ে যাও— যতটা গভীরে চাও, ক্ষণিক হেসে, ওগো, তুমি কৈ যাও, আসোনা পাশে।

চাও যত ঘুমিয়ে লও ধরণী পরে। আরো আছে?_স্বপ্ন কোনো তরুণী তরে? এত বেশি ঘুমালে চোখ-মুখ যায় ফুলে জানি, তবু যাই ভুলে আমি কি করে?— এখন ঘুমুতে দাও করুনা করে। হায় হায়, টাইম নাই, এখন কি করি? আমারি ক্লাসের হায় হয়েছে দেরী! জেগে উঠি ধীরে ধীরে, বাস্তবে আসি ফিরে, "নাতিদীর্ঘ" ঘুম সেরে ক্লাসে গেনু দৌড়ি! ক্লাসের হয়েছে দেরী, এখন কি করি? "DON'T WAKE ME UP UNTIL IT'S TOO LATE" _____________________________________________________ সোনার তরী____রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর __________________________________ গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। রাশি রাশি ভারা ভারা ধান-কাটা হল সারা, ভরা নদী ক্ষুরধারা খরপরশা– কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।

। একখানি ছোটো ক্ষেত, আমি একেলা— চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা। পরপারে দেখি আঁকা তরুছায়ামসী-মাখা গ্রামখানি মেঘে ঢাকা প্রভাতবেলা— এপারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা। । গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে! দেখে যেন মনে হয়, চিনি উহারে।

ভরা পালে চলে যায়, কোনো দিকে নাহি চায়, ঢেউগুলি নিরুপায় ভাঙে দু ধারে— দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে॥ ওগো, তুমি কোথা যাও কোন্‌ বিদেশে? বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে। যেয়ো যেথা যেতে চাও, যারে খুশি তারে দাও— শুধু তুমি নিয়ে যাও ক্ষণিক হেসে আমার সোনার ধান কূলেতে এসে। । যত চাও তত লও তরণী-পরে। আর আছে?— আর নাই, দিয়েছি ভরে।

। এতকাল নদীকূলে যাহা লয়ে ছিনু ভুলে সকলি দিলাম তুলে থরে বিথরে— এখন আমারে লহো করুণা ক’রে। । ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো সে তরী আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি। শ্রাবণগগন ঘিরে ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে, শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি— যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।

। একদম খাঁটি সোনার তরী _____________________________________________________ উত্সর্গ: "তাদের, যারা সকালে ঘুম থেকে না উঠার অজুহাত বছরের পর বছর সফলভাবে খুঁজে পেয়ে চলেছেন। " ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।