ভস্ম হই। মৃত্যুর চুমু আমার কপোল ছুঁয়ে যায়। বেঁচে উঠি আবার। নতুন দিনের আশায়। বেঁচে উঠি বারবার।
যৌতুক বিষয়টা পুরোনো। পুরুষ শাষিত সমাজে মেয়েকে বিয়ে এবং সেই সঙ্গে কিছু উৎকোচ দিয়ে মেয়ের সুখ নিশ্চিত করতে চান বাবা মায়েরা। এই থেকে উৎপত্তি যৌতুকের।
আমার ধারনা মধ্যযুগে ভারত উপমহাদেশে পুরুষের তুলনায় অতিরিক্ত নারী জনসংখ্যা এর একটি কারন। আর একবার এই প্রথা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া পুরুষেরা নিজের ক্যারিয়ারের এক অন্যতম বুষ্ট মনে করত এই যৌতুক।
এই দুই কারনে এটা চলে আসতে থাকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত।
আধুনিক লোকেরা এখন যেীতুক নেয় না। সমাজ এখন অনেক সচেতন। এনিয়ে কথা বার্তা হয়, গল্প লেখা হয়, নাটক, সিনেমা সব হয়। এখন মানুষের সচেতনতা বেড়েছে, জীবন যাত্রার মান বেড়েছে।
রিসেপশনিষ্টকে এখন বলা হয় ফ্রন্ট ডেস্ক অফিসার। কিন্তু আদৌ কি যৌতুক প্রথা উঠে গ্যাছে?
দুটো ঘটনা বলি। মাহীন ব্যবসা করে, বাবার মাঝারী আকারের ব্যবসা। ব্যাচেলর পর্যন্ত ঠিকই শেষ করেছে মাহীন। তারপর বাবার ব্যবসা শুরু করেছে।
কথায় বার্তায় শিক্ষিত মাহীনের খুব শখ অল্প বয়সের একটা মেয়ে বিয়ে করবে। গ্রামের পয়সাওয়ালা একটা ঘরের একটা মেয়ে নিয়ে এলো সে। সঙ্গে অনেক গহনা, আসবাব, সেই সাথে ব্যবসায় পুঁজি বৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা। তার ভাষায় মেয়ে তার নিজের জন্য গহনা আর আসবাব নিয়ে এসেছে, আর এই ব্যবসা তো তার নিজেরই স্বামীর ব্যবসা।
মাহীনেরই আরেক বন্ধু রুমন।
অনেক শিক্ষিত, স্মার্ট। এই সব যৌতুক ফৌতুকের ব্যাপারে অনেক সচেতন। বিয়ের সময় কিছুতেই আসবাব, গহনা এইসব নিবে না। মেয়েটা তাকে বোঝালো, 'দেখ আমি যদি খালি হাতে আসি আমাকে ছোট মনে করবে তোমার ঘরের লোকজন। ' রুমন জানাল তার ঘরের লোকজন এমনটা নয় মোটেই।
তারপরও দ্্বিতীয় এবং তৃতীয় দুরত্বের আত্মীয়ের কথা বলে শেষ পর্যন্ত রাজি করালো রুমনকে। যৌতুকের কথায় এখন মাথা নীচু করে থাকে রুমন।
বটমলাইন হচ্ছে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যৌতুক কিন্তু এখনও আমাদের সমাজে জড়িয়ে আছে। কনের বাবা-মার উপর সুক্ষ একটা প্রেসার কিন্তু এখনও আছে। মেয়ের বাবা-মা হলে এখনও মানুষ টাকা জমায় মেয়ের ভালো বিয়ের জন্য।
আসলে পুরো বিয়ের প্রসেসটার পরিবর্তন দরকার। আমার কেবলই মনে হয় পুরো ব্যাপারটাই খেলো, লোক দেখানো। কবে আমরা এইসব থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো!
[ইদানীং বিয়ে-শাদী নিয়ে খুব উঠে পড়ে লেগেছি। আশেপাশে কিছু ঘনিষ্ট মানুষের ধুমধাম বিয়ে হচ্ছে আর বারবার এই প্রসেসটার অসারতা চোখের সামনে ধরা পড়ছে, বিরক্ত হচ্ছি। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।