'জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে'- জানা আছে কিন্তু মানা বড়ো মুস্কিল। বিশেষ করে একান্ত আপনজনদের বেলায়। মৃত্যু- নীরবে, নিভৃতে কোথায় ওত পেতে থাকে-অনুভবের আগেই উপস্হিতি জানিয়ে ফেলে। আমরা ধরা পড়ে যাই। কোন শক্তি, ক্ষমতা, অর্থ, দাপট, বুদ্ধি আর কাজ করে না, উপায় থাকে না।
আর যখন অসুস্হ করে ফেলে তখন কতো না চেষ্টা, যত্ন, সুস্হ-স্বাভাবিক করে আবার আপন দুনিয়ায় ফিরিয়ে আনার জন্য। চিকিৎসার জন্য কত কিছুই না করা হয়।
এক সেকেন্ডের নাই ভরসা যিনি গেয়েছেন তিনিও পান নি একটি সেকেন্ড- গানের কথার মতই নিমেষে হারিয়ে গেছেন। আমরা যে কি অসহায় আরেকবার নতুন করে বুঝতে পারি, উপলব্ধি করি। নিজেরা যা বুঝি, রোগী তাও বুঝতে পারে না।
শুণ্য দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে থাকে। প্রত্যাশাও করতে পারে না কিছু। দীর্ঘশ্বাস ফেলা আর দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না তখন।
আজকাল যৌথ পরিবার কম, মিল মহব্বত অনেক জায়গায় থাকে না, ব্যস্ততা বেশী। ফলে, রোগীর সেবা করার জন্য এগিয়ে যেতে চান অনেক, মনে মনে।
অনেকে ইচ্ছে থাকলেও পারেন না। অনেক জায়গায় লোক পাওয়া যায় না। তারপরও সেবায় যুক্ত হন আমাদের আপনজনরাই।
হে দয়াময়, সর্বশক্তিমান এমন অবস্হায় কাউকে ফেলো না। মৃত্যুর স্বাদ তো পেতেই হবে।
তা' যেনো হয় শান্তিময়, নিরালায়, ঈমানের সাথে, কলেমার সাথে, কাউকে কষ্ট না দিয়ে।
মৃত্যুর নীরব, চকিত আলিংগন যেন প্রশান্তির চিরনিদ্রা নিয়ে আসে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।