Click This Link
বেশী কিছু না, শুধু হেডমওয়ালা বা বিচিওয়ালা একজন সংস্কৃতি মন্ত্রী থাকলেই চলে। এককথায়, একদিনে, গায়ের জোরে সব হিন্দি চ্যানেল বাংলাদেশে বন্ধ করে দিতে হবে। একেবারে সামরিক শাসক বা একনায়কের মত চাপিয়ে দিতে হবে হিন্দি চ্যানেলের উপর নিষেধাজ্ঞা। জাতি প্রথমে একটু মোড়ামুড়ি করলেও পরে ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের পূর্বের মত আর সেই অবস্থা নাই, আমাদের এখন অনেকগুলি টিভি চ্যানেল।
জনগণের জন্য অনেক অপশন আছে। ঐসব অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন দেখানোর অভিযোগ করে লাভ নাই। আমাদের দরকার একজন বিচিওয়ালা মন্ত্রী যিনি একহাতে সব নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। কোন কথা নাই, ঐ অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনওয়ালা বাংলা নাটক খাইলে খা নয়তো দূরে গিয়া মর।
এদেশের গ্রামে গঞ্জে এখনো বিদ্যুতও পৌছয় নাই।
অনেক জায়গায় বিটিভি ছাড়া আর কিছুই নাই দেখার।
এইসব ডোরেমন প্রজন্ম কিছুই করতে পারবে না। এরা মাজা ভাঙ্গা প্রজন্ম। এদের আন্দোলন করার মত সামর্থ্য বা সাহস কিছুই নাই। এদের মধ্যে থেকেই কিছু মাজার জোর ওয়ালা ছেলেপেলে বের হয়ে আসবে যারা বাংলাকে টিকিয়ে রাখবে।
আপনার এই ডোরেমন দেখা শ্রেণিটা হচ্ছে, স্বার্থপর মধ্যবিত্ত বা উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণী। এরা ডরেমন দেখলেই কী আর না দেখলেই কী? এরা কোনকালেই দেশের কোন কাজে লাগে নাই, আর লাগবেও না। যে রুচিশীল মধ্যবিত্ত শ্রেণী দেশের পাশে এসে দাড়িয়েছে সবসময় এরা টিভির থেকে লাইব্রেরীতে বেশী সময় কাটায়, এরা বাসায় টিভি দেখার থেকে বই পড়ে বেশী। যে সকল নিম্নমানের পরিবার ডোরেমন দেখে, তাদের আসলে বস্তা ভরে বই এনে দিলেও কোন লাভ হবে না, কারন তারা চরতিত্রগতভাবেই নিম্নরুচির। এরে টাকা ইনকাম করে, খায় দায়, ফূর্তি করে।
এরা স্বার্থপর আত্মকামী সমাজ, এরা কখনও দেশের জন্য কিছু করবে না। যারা করার তারা আছে, আলাদা আছে। নিম্নশ্রেণীর কিছু পরিবার দেখে শঙ্কিত হবার কিছু নাই। এইসকল পরিবার হিন্দি বন্ধ হয়ে গেলে অন্য কোন আকাজের জিনিসে সময় নষ্ট করবে। এরা প্রোডাক্টিভ কোন কাজে সময় দেয় না।
দেশ বাচিয়ে রাখে বই পড়া পরিবারগুলি, টেলিভীশন দেখা পরিবারগুলি নয়। তাই টেলিভীশন দেখা পরিবারগুলি বাংলা জানলো না হিন্দি জানলো, বাংলা মিডিয়ামে পড়লো নাকি হিন্দি মিডিয়ামে পড়লো তাতে কিছু যায় আসে না। এরা সমাজের একটা ক্ষুদ্র অংশ। এরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে না। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ঐ বই পড়া পরিবারগুলি আর গ্রামের কৃষকেরা।
এরা কখনও নষ্ট হয় নাই, কখনও নষ্ট হবে না। এদের হাজার ডোরেমন দেখালেও একসময় এরা হিন্দির প্রভাব থেকে বের হয়ে এসে গর্জে উঠবে জয় বাংলা বলে। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। ৪০০০ বছরে বহু আরবি ফার্সি সংস্কৃত ইংরেজী চলেছে বাঙালী জাতির উপর দিয়ে। ব্রিটিশরা তো পুরাই ইংরেজীর ষ্টীম রোলার চালিয়ে দিয়ে গেছেন বাংলার উপর দিয়ে।
কিছু হয়েছে বাংলা ভাষার? কেউ কিছু করতে পেরেছে? আজ আমি এখানে ঠিকই বাংলাতে ব্লগ লিখছি। এইসব সামান্য হিন্দিকে দুই পয়সা পাত্তা দেবার কিছু নাই। হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।