তুমি যে আছ তাই,আমি ব্লগে লিখে যাই...... কখনো কখনো দুর্ঘটনা অনেকগুলো মুখ চিনতে সাহায্য করে। চলমান অব্যাহত নারী সহিংসতা দেখে মনে হয়েছে ছাগু সম্প্রদায় ও 'অতি প্রগতিবাদী' নারীবাদীদের মধ্যে চিন্তার জায়গায় খুব একটা দূরত্ব নেই। প্রথম দলের ধারণা,নারী পর্দা-পুশিদার অন্তরালে থাকলে অনেকটাই নিরাপদ থাকবে। কিন্তু এরা ভুলেও শিকার করে না যে পুরুষকেও তার দৃষ্টি ও চিন্তা ভাবনার লাগাম টেনে ধরতে হবে। নিজেরা গোটা দুনিয়া জুড়ে রংবাজি করে চলবেন কিন্তু নারীকে নিজ থেকেই সংযত থাকতে হবে !
দ্বিতীয় দলের ধারণা,পোশাক আশাকের ব্যাপারে কোন স্বাধীনতা থাকা উচিৎ নয়।
পশ্চিমা বিশ্বে যেকোন ধরনের পোশাক পরে মেয়েরা চলাফেরা করছে। কেউ তার দিকে তাকাচ্ছেও না। উনারা এই ব্যাপারটা চেপে যান যে,আদতে একে নারী স্বাধীনতা মনে হলেও পশ্চিমা দুনিয়ায় নারীকে প্রডাক্টের চাইতে বেশি কিছু ভাবা হয় না। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা সাময়িক ইলেক্ট্রিসিটি ফেইলিউরের সময় নারীই সবচাইতে অনিরাপদ অবস্থানে থাকে। সেখানে নারী হয়তো সরাসরি আক্রমণের শিকার হয় না ঠিক তবে নারীর প্রতি সহিংসতার পরিসংখ্যান দেখলে মাথা ঘুরাতে শুরু করে।
বলে রাখা ভাল, সেখানেও কিন্তু ঠিক ঠাক মতই বিচার-শাস্তি হয়। ডাক্তার ইভার করুণ মৃত্যুর পরে বাংলাদেশী নারীবাদীদের নয়া বয়ান-ধর্মময় জীবন কিংবা নামাজ- হিজাব নারীকে রক্ষা করতে পারে না। কি অসাধারণ যুক্তি-বুদ্ধি!স্রেফ একটা ঘটনা দিয়েই উনারা সব বিবেচনা করতে চান! ইনারা ভুলে যান,দেড় হাজার বছর আগে নারী অনেকটা এখনকার মত অবস্থাতেই ছিল। যেখানে মাত্র এক কি দুই শতাব্দি আগে পশ্চিমা দুনিয়া নারীকে মানুষ ভাবতে শিখেছে সেখানে ইসলাম তার আবির্ভাবের সময়েই নারীর রক্ষা কবচ হয়ে এসেছিল। রক্ষা করেছিল অনেক অনাচারের হাত থেকে।
রিপুর তাড়না এমনই এক ব্যাপার যে স্বয়ং রাসুল সাঃ এর জামানাতেও তাঁকে ধর্ষণ-ব্যভিচারের দন্ড কার্যকর করতে হয়েছে। ধর্ষণ কিংবা অন্য সব হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য ধর্মীয়-নৈতিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। নারীবাদীদের কাছে ধর্মীয়-নৈতিক শিক্ষার ব্যাপারটা অবশ্য 'ভাশুর' সম্বন্ধীয়!এর গুরুত্ব উনারা বুঝতে পারলেও মুখে আনতে শরমিন্দা হন। ইনারা বাদুড়ের মত এক মুখে নানা কাজ সারেন। ধর্ষণের কঠোর শাস্তি হিসেবে 'নির্বীজকরণের' কিংবা মৃত্যুদণ্ডের দাবি তুলেন আবার এই ইস্যুতে ইসলামের কঠোর অবস্থানের ও সমালোচনা করেন।
একদিকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে কথায় কথায় গালি দেন আবার বিউটি প্রডাক্ট কিংবা সুন্দরী প্রতিযোগিতার ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকেন। কেউ কেউ অবশ্য নিজেরাই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিচারকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হন কিংবা বিজ্ঞাপনী সংস্থা খুলে নামান্তরে 'নারীদেহ প্রদর্শনী কেন্দ্র' চালু করেন। কে জানে,এ জন্যই হয়তো আমার মনে নারীবাদী আর অক্টোপাস-গিরগিটিকে এক পাল্লায় মাপে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।