যদি কখনও সুযোগ পাই, সাত বাজারের চুড়ি এনে দেব, যত্ন করো!
কুড়িল বিশ্বরোড নেমেই চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম কঠিন অবস্থা! মানুষ আর মানুষ.... সবাই ১১ নং যানে চড়ছে অর্থাত হাঁটছে। সি.এন.জি খুজছি আর ভাবছি যদি কোন সুন্দরী লিফট চায় তাহলে সবিনয়ে লিফট দিব.... কিন্তু কিছমত খারাপ, কোন সি.এন.জি পেলাম না। শেষে আমিও ১১ নং ধরলাম।
হঠাত খালি হিউমেন হলার পেয়ে তাতে চড়ে বসেছি... কিন্তু অভাগার যা হয় মধ্য বাড্ডায় সবাইকে নামায় দিল।
নেমে দেখি এখানেও একই অবস্থা, বিভিন্ন রকমের মানুষ, শ্রমজীবি, ছাত্র-ছাত্রী, গার্মেন্টস কর্মী, চাকরীজীবি, ব্যবসায়ী.... কেউ হেঁটে, বাসে ,গাড়িতে, বাসের বামপারে... বাসায় যাচ্ছে।
রিকশা পেয়ে (আল্লাহ মেহেরবান) চেপে বসেছি আর লোকজনের অবস্তা দেখছি; সবার চোখে আতংক, দু:শ্চিন্তা গ্রাস করেছে; আতংক সময়মত বাসায় পৌছতে পারবে কিনা, প্রিয়জনের সাথে দেখা হবে কিনা, আর দু:শ্চিন্তা, কি হবে সামনে? শ্রমজীবিদের দু:শ্চিন্তা আরও বেশী। এর মাঝেও দেখি ঠোঁটের কোনে হাসি লুকিয়ে আছে।
গার্মেন্টস কর্মীরা তাদের সঙগীদের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে আর হাঁটছে.. আর আতংক ভর করছে চোখে; গাড়িতে কিছু টিনেজার উল্লাস করছে .... মনে হচ্চে সামনে তাদের জন্য মহানন্দ অপেক্ষা করছে;
এসব দেখতে দেখতে রামপুরা টিভি ভবনের সামনে বিশাল জ্যামে পড়লাম , পাশে এক গাড়িতে দেখি নবদম্পতি (মনে হচ্ছিল)। ছেলেটি ড্রাইভ করছে, মেয়েটি পাশে পা তুলে বসে আছে, ছেলেটা কিছুক্ষন পর পর গিয়ার(গাড়ির) চেন্জ করছে আর সাথে সাথে মেয়েটার পা স্পর্শ করে যাচ্ছে, এরকম অভিনব প্রেম দেখে আমি ত পুরা টাস্কি! ... বেশ ভালই সময় কাটাচ্ছে তারা... শুধু মেয়েটির ঠোঁটে হাসি আর চোখের কোনে আতংক।
কার্ফিউ শুরু হবার কিছুক্ষন আগে বাসায় পৌঁছলাম, দুই হোমমোট তখন চানাচুর মুড়ি খাচ্ছে .... আপেলের ব্যাগটা দিয়া বললাম লগে কিচু ভিটামিন খাও; তাদের ঠোঁটের কোনে হাসি।
মোবাইল নেট বন্ধ, কারো সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অফিস থেকে বের হবার সময় সর্বশেষ আম্মুর সাথে কথা হয়েছিল, এরপর আর হয় নি.... বুঝতেই পারছি আম্মুর চোখে মুখে আতংক আর দু:শ্চিন্তা গ্রাস করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।