andharrat@জিমেইলডটকম
প্রশান্তি হচ্ছে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা ও দুশ্চিন্তার বিপরীত অবস্হা। যিনি প্রশান্ত তিনিই সবচেয়ে সুখি ও আনন্দময় জীবন যাপন করতে পারেন। বর্তমান যুগে আধুনিক, লোক দেখানো বিলাসবহুল জীবন যাপনের প্রতিযোগিতায় প্রশান্তি ক্রমেই আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। যার ফলাফলস্বরূপ বেড়ে গেছে হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক ও ক্যান্সারের মত খারাপ রোগের ব্যাপক বিস্তার। ঐসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শুধু নিজেরই ক্ষতি হয়না, তার সাথে ধ্বংসের মুখে পতিত হয় একটি সাজানো পরিবারও।
প্রচুর টাকা থাকলেও প্রশান্তি মেলেনা। কারন প্রশান্তির মূল্য টাকার চেয়েও বেশী। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো টাকা রোজগার করা খুবই কষ্টের ও পরিশ্রমের কিন্তু প্রশান্তি অর্জন করা খুবই সহজ সরল। অথচ সেই সহজ সরল রাস্তাকে আমরা অনেকেই চিনিনা, জানিনা।
একজন প্রশান্ত মনের ব্যক্তি কখনো উগ্র হতে পারেন না, হিংস্র হতে পারেন না, অসৎ হতে পারেন না এবং যদি প্রশান্ত ছাত্র-ছাত্রী হয় তবে পরীক্ষার ফলাফলও খারাপ হবেনা।
সেই প্রশান্তির জন্ম কিন্তু কল্পনাতেই। আর কল্পনা করার ক্ষমতা আমাদের প্রত্যেকেরই আছে।
প্রশান্তি আনয়নের সব চেয়ে সহজ ও সাধারন পন্হা হচ্ছে কল্পনায় দৃশ্যধারন। এই কাল্পনিক দৃশ্য হতে পারে কোন আকর্ষণীয় স্হান অথবা মূহুর্ত, যেখানে আপনি পরমানন্দ পেয়েছিলেন, শান্তি পেয়েছিলেন, সুখ পেয়েছিলেন এবং নিরাপদ ছিলেন। ভাবতে পারেন কোন টলটলে পানির ঝরনা কলকল ছন্দে বয়ে চলেছে আপনার পাশ দিয়ে।
রং বেরং এর পাখির মিষ্টি সুরেলা গান আপনার হৃদয় আলতো করে ছুঁয়ে যায়। রঙিন ফুল ও ফলের গন্ধে আপনি হতে পারেন মাতোয়ারা। নীল আকাশে তুলোর মত ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের সাথে ভেসে যেতে পারেন দিগন্তের ওপারে। কল্পনায় শুয়ে থাকতে পারেন সাগরের বালুকাবেলায়, যেখানে ঢেউ এসে ছুঁয়ে যায় দু’টো পা। সাঁতার কাটতে পারেন বিশাল সুইমিং পুলে, কাকচক্ষু শীতল পানিতে ভেসে বেড়াতে পারেন রঙিন মাছের মতন।
এসব কল্পনা আপনাকে রাখবে প্রশান্ত ও নির্ভার। যে কাল্পনিক দৃশ্য আপনাকে প্রশান্ত এনে দিতে পারে তা আপনি নিজে নিজেই তৈরী করে নিতে পারেন। আপনার বুকের ভেতর তালাবদ্ধ করে রাখা উদ্বেগ, উৎকন্ঠা, কষ্ট সব কিছুই মূহুর্তে বাইরে বের করে দিতে পারে ঐসব কাল্পনিক সুখ ছবি। কারন প্রশান্তি মনের চিত্রতেই জন্ম লাভ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।