আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবাক করা এক কলেজের সাফল্য

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

বাংলাদেশের প্রচন্ড অবহেলিত জনপদ ময়মনসিংহ। খুব সম্ভব এটিই একমাত্র জেলা শহর যেখানে ছেলেদের এইচ এস সি লেভেলে পড়ার জন্য কোন সরকারি কলেজ নাই। সরকারি আনন্দমোহন কলেজে ইন্টার বন্ধ হয়েছে সেই ১৯৯৫ সালে, মেয়েদের জন্য আছে মুমিনুন্নিসা সরকারি কলেজ। ঢাকা বোর্ডের স্ট্যান্ড বা ফলাফল মানেই ঢাকা শহরের স্কুল -কলেজ গুলোর একচেটিয়া আধিপত্য। ঢাকার বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে ঢাকার যে ফল বৈষম্য তা অন্য কোন বোর্ডে দেখা যায়না।

এবারের পত্রিকায় প্রকাশিত ঢাকা বোর্ডের ফলাফলে দেখা যায় সর্বোচ্চ জি পিএ ৫ প্রাপ্তির দিকে ঢাকা বোর্ডে দশম এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি কলেজ, যেটা ঢাকার বাইরে একমাত্র টপ টেন কলেজ। ৫ প্রাপ্তি শতকরা হারে ঢাকা বোর্ডে ২য় হয়েছে এই কলেজ, তারপরেই প্রখ্যাত নটরডেম কলেজ ৩য় এবং ১ম ভিকারুননিসানুন। আপনারা বিস্মিত হবেন শুনে যে এ কলেজে কোন আর্টস বা কমার্স বিভাগ নেই। শুধু বিজ্ঞান বিভাগ। তাও ৬ টি বিষয় ছাত্রদের জন্য অবশ্য পাঠ্য এবং মাত্র ৬ জন শিক্ষক দিয়ে একটি কলেজে শতাধিক ছাত্রদের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে লেখা পড়া চলচছ।

সকল ছাত্রকে বাধ্যতামূলক ভাবে বায়োলজি নিয়ে পড়তে হয় , কেননা স্ট্যাট বা কম্পিউটার বা অন্য কোন ঐচ্ছিক বিষয় নেয়ার সুযোগ এখানে নেই। ২০০৩ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা যখর প্রথম গ্রডিং পদ্ধতিতে হলো সেবার সারা বাংলাদেশে সব বোর্ড মিলিয়ে জি পি এ ৫ পেয়েছিল ২০ জন। তাদের এক জন এই অদ্ভুত কলেজের আর দুজন হলো নটরডেম থেকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.