প্রতিদিন অন্তত একটা ভালো কাজ করার চেষ্টা করুন যেদিকে তাকাই-শুধু পরিবর্তনের হাওয়া। আমি শুভ পরিবর্তন গুলোর কথা বলছি।
আমাদের ছোট্ট এ দেশটির অনেক কিছুই বদলেছে, আবার অনেক কিছুই অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়ে গেছে। ইন্টারনেট ইউসেজ এর মুল্য ৫/৬ বছর আগে যা ছিল এখন ও তাই আছে।
আগে পার কিলো বাইট দুই পয়সা ছিল, এখনো তাই।
এক জিবি ৩৫০টাকা ছিল, এখনো তাই। ভাবা যায়!
কিছু কিছু প্যাকেজের মুল্য কমেছে কিন্তু তা আশানুরুপ নয়।
অতীতের কথা বাদ দিলাম। তখন ব্যান্ডউইথের মুল্য অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এখন তো আগের অবস্থা নেই।
সরকার দফায়-দফায় ব্যান্ডউইথের মুল্য কমিয়ে ৮০০০টাকাতে এনেছে। তারপরেও আমরা ভোক্তারা এর সুফল ভোগ করতে পারছিনা।
এটা গেল সার্ভিস প্রোভাইডারদের ভোক্তাদের বাশ দেবার কথা।
এবার আসুন দেখি সরকারের নীতি নির্ধারক মহল কি করছে।
২০১২ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ১৬৪ (আরেক সূত্রমতে ২০০) জিবিপিএস/সেকেন্ড।
এর মধ্যে মাত্র ২৬গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ আমরা সবাই মিলে ব্যবহার করি।
তবে আসল কথা হল, আমাদের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি বর্তমানে কত আছে এবং কত ব্যান্ডউইথ পড়ে আছে, কেউই এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিচ্ছেনা।
প্রশ্ন জাগেনা- বাকি ব্যান্ডউইথ তাহলে গেল কোথায়? সরকারের নীতি নির্ধারকদের কথা অনুযায়ী এই ২৬গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ বাদে বাকি ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ রাখা হয়!
ব্যান্ডউইথ সোনা নাকি জমি যে রিজার্ভ অবস্থায় ফেলে রেখে দিলে এর মুল্য বা চাহিদা বাড়বে অথবা ইন্টারনেট ইউজারদের কোন উপকারে আসবে!
মুল্য যতই কমানো হোক, প্রায় ৮০% ব্যান্ডউইথ ফেলে রাখলে সেটা দেশের কোন উপকারে আসবে?
প্রয়োজন হলে ব্যান্ডউইথের দাম আরো কমিয়ে সম্পুর্ন ব্যান্ডউইথ সকল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হোক। কারন কয়েক শ কোটি টাকার ব্যান্ডউইথ ফেলে রেখে তো কোন উপকারে আসছেনা!
ভাবছেন কি গর্দভ সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের লোকগুলো! ভুলেও তা ভাবতে যাবেন না।
ওরা আপনার আমার চাইতে অনেক অনেক বুদ্ধিমান এবং নিজের আখের গোছাতে সচেষ্ট।
বিভিন্ন সূত্রমতে, কিছু প্রভাবশালী মহল সরকারের উঁচু পর্যায়ের কিছু অফিসিয়ালের সাথে যোগসাজশ করে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি বিজনেস চালাচ্ছে।
যে কারনে আমরা টাকা দিয়ে কলা কিনছি ঠিকই কিন্তু কপালে কলার খোসা ছাড়া আর কিছুই জুটছেনা। অথচ আমাদের যে ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে বলা হচ্ছে সেই ব্যান্ডউইথ গুলো সঠিকভাবে এ্যালোকেট করলে এবং যে টাকা আমরা ইন্টারনেট ইউজের জন্য ব্যয় করি, তাতে আমাদের কমপক্ষে ৭থেকে ৮গুণ বেশি স্পীড পাবার কথা।
তথ্যগুলো আপনারা আমার থেকে অনেক ভাল জানেন, ব্লগে বা ফেসবুকেও কম লেখালেখি হল না।
কথা সেটা নয়।
কথা হল আর কতকাল এভাবে চুপ থাকব আমরা? আর কতকাল নিজেদের পশ্চাৎদেশ সার্ভিস প্রোভাইডার আর সরকারের নীতি নির্ধারকদের দিকে মেলে বসে থাকব?? পশ্চাৎদেশে আর কত বাশমারা খেলে আপনাদের ঘুম ভাঙ্গবে???
ব্লগে/ফেবুতে তো অনেক লাফালাফি হল, মাঠে নামার সময় কি এখনো হয়নি?
ফেসবুক/ব্লগে প্রতিবাদ করে আমাদের দ্বায়িত্ব শেষ মনে না করি।
যদি সৎ উপার্জনের টাকায় ইন্টারনেট ইউজ করে থাকেন, তাহলে আসুন এবার পথে নামি।
ব্লগে/ফেবুতে অনেক বড় বড় ব্লগার আছেন, যাদের একটি ডাকে হাজার হাজার মানুষ আসবে।
তাদের কেউ একজন কি এই বিষয়ে স্ট্যান্ড নিতে পারেন না?
কাউকে না কাউকে দ্বায়িত্ব নিতে হবেই। কেউ একজন স্ট্যান্ড না নিলে এরা সারাজীবন ধরে আমাদের টাকা ভ্যাম্পায়ারের মত চুষেই খাবে।
*আপডেটঃ
আমরা শাহবাগ/বিটিসিএল কার্যালয় অথবা কোন টিভি চ্যানেলের সামনে মানব বন্ধন করার মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করব।
আমি জানি শুধু মানব বন্ধনে কোন কাজ হবেনা, তবে প্রাইমারি স্টেপ হিসাবে এটার বিকল্প কিছু দেখছিনা।
মিডিয়া কাভারেজ হিসাবে আমরা ইটিভি কে পাশে পাচ্ছি ইনশাল্লাহ। তাছাড়া কয়েকটি পত্রিকার সাথেও কথা হচ্ছে।
ওরা এটা নিয়ে নিউজ করবে এবং মানব বন্ধনের দিন রিপোর্টার পাঠাবে।
তবে তার জন্য আপনাদের হেল্প দরকার।
ওরা একটা প্রেস নোট চেয়েছে। কতটুকু ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে, কতটুকু ইউজ হচ্ছে ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে একটা ডিটেইল রিপোর্ট ও চেয়েছে।
প্রেস নোট কিভাবে লিখতে হয় সে সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়া নেই।
আর কিছু না পারেন, অন্তত এই উপকার টুকু করেন।
কবে-কিভাবে আমরা রাস্তায় নামতে পারি, সরকার কে আমাদের পাওনা ব্যান্ডউইথ দেবার কথা কিভাবে বলতে পারি আইডিয়া দিন।
সবাই আরেকটিবার জাগুন! মেসেজ টি সবার কাছে পৌছে দিন।
পূর্বে প্রকাশিত ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।