একজন আমি, একজন হারিয়ে যাওয়া এবং একজন দূর প্রবাসী
আজকের এই গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ ফকরুদ্দিন সরকারের হাতে হঠাৎ করেই জিম্মি হয়ে পড়েছে। এতোদিন যদিও মানুষ তাদের মনের ক্ষোভ লুকিয়ে রেখেছিল, কিন্তু একটি তুচ্ছ কারনে তাদের সেই ক্ষোভ এর ভয়াবহ প্রকাশ ঘটে। ৫২ এর আন্দোলন এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে যেই জনগন সর্বদা মেনে চলে তাদেরকে স্বৈরাচারী শাসনে আটকে রাখা যাবে না এটা সরকারের আগেই বোঝা উচিত ছিল। যাই হোক সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি। এটা সরকারের আরেকটি ব্যর্থতা।
এই ব্যর্থতাকে ঢাকতে সরকার আবার কার্ফ্যু জারি করেছে সারাদেশে।
সব ভালোই ছিল। কিন্তু সরকার এইবার অনেক ভয় পাইসে বোধহয়। নাইলে তারা কেন মোবাইল আর ইন্টারনেট এর কানেকশন কাটতে যাবে?
কবুতর হল শান্তির প্রতীক। প্রাচীন কালে শান্তি নিয়ে আসত সে মানুষের মনে, যখন দূর দেশে বসবাসকারী প্রিয় জনের লেখা চিঠি সে সাত সম্মুদর পারি দিয়ে নিয়ে আসতো।
আকাশে যখন কবুতর দেখা যেত তখন নিচের মানুষের মন চঞ্চল হয়ে পড়তো। তাদের একটাই আশা থাকতো চিঠিটা যেন তার কাছেই আসে। এভাবে কবুতর প্রাচীন কালে মানুষকে মনের ভাব প্রকাশে সাহায্য করতো। ছোটবেলায় আমাদেরকে কবুতর পালনের উপদেশ দেয়া হত। কবুতর পালনের কিছু সুবিধার মধ্যে অন্যতম ছিলঃ
১.চিঠি আদান প্রদান করার সুবিধা
২.কবুতর বিক্রি করে আয় উপার্জন করা
৩.কবুতরের বিষ্টা সার হিসাবে ব্যবহার করা যায়(সম্ভবত)
৪.কবুতর পথ দেখিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে পারে।
১.এখন যেহেতু সরকার আমাদের মোবাইল আর ইন্টারনেট এর কানেকশন বন্ধ করে দিচ্ছে, তাই এসময় কবুতরের চেয়ে উপযুক্ত বন্ধু আর হতে পারে না। মোবাইল না থাকার কারনে অনেক যুগলের মধ্যেই এখন মনোমালিন্য চলছে। আবার কোনো বন্ধু হয়তো তার প্রানের বন্ধুর খোঁজ নিতে পারছে না। এই মুহুর্তে একটি কবুতর তাদের মাঝে যোগাযোগ স্থাপন করে সম্পর্ক ধবংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে। পারবে আপন জনের মুখে হাসি ফুটিয়ে দিতে।
২.দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন খুবই খারাপ। আগে যেখানে ৩০টাকা চালের কেজি ছিল তা এখন ৫০-৬০ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭০-৮০ ও হয়ে গিয়েছে(উদাহরণ)। এখন যদি ছোট বেলা থেকেই আমরা কবুতর পালন করতাম তাহলে আমরা এখন কবুতর বিক্রি করে অনেক আয় করতে পারতাম। তার উপর কবুতর পাচার করেও অনেক আয় করা সম্ভব হত বোধহয়। ফলে আর যাই হোক নিজের পরিবারকে আমরা স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারতাম।
৩.দেশে বন্যা হয়েছে। বন্যার ফলে অনেক ফসলই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন মানুষের কাছে ফসলের বীজ কিনার টাকাই নেই। তাহলে তারা সার কিনবে কেমন করে? এখানেও কবুতর আমাদের সাহায্য করতে পারবে। তাদের বিষ্টা আমরা সার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবো।
এর ফলে হাসতে ভুলে যাওয়া কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে না পারলেও তার মন থেকে একটি দূশ্চিন্তা তো সরাতে পারবো!
৪.খুব কম সময়ই নোটিশে সরকার কার্ফ্যু দিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে মানুষের ঢল নামে রাস্তায়। তাদের সবার চিন্তা একটাই, নিরাপদে বাড়ি যাওয়া। কিন্তু কোনো যানবাহনই নেই যে তাদেরকে নিয়ে যাবে। এখানেও সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিবে আমাদের কবুতর।
কবুতর খুব ভালো পথ দেখাতে পারে। সে যদি জানে আমাদের বাড়ি কোথায়, তাহলে কোনো ভয় ভীতি ছাড়াই তার উপর নির্ভর করতে পারেন। সে ঠিক ঠিকই আপনাকে নিরাপদে বাড়ি পৌছে দিবে।
একটা কথা আছে, এক মাঘে শীত যায় না। হয়তো এই কার্ফ্যুই শেষ কার্ফ্যু নয়।
তাই চলেন আমরা এখন থেকেই কবুতর পালা শুরু করে দেই। এই কার্ফ্যুতে কাজে লাগেনি তো কি হয়েছে? পরের কার্ফ্যুতে ঠিকই আপনি কবুতরকে ধন্যবাদ জানাবেন আপনার জীবন বাঁচানোর জন্য।
আসুন কবুতর পালি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।