সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯০০০/১০০০০ হাজার ফুট উচুতে অবস্থিত জায়গাটির নাম ক্যামেরুন হাইল্যান্ড। কেএল থেকে বাসে যেতে ৪ ঘন্টা লাগে। ভাড়া লাগে ২৫ রিংগিত। প্রথম ২ ঘন্টা সমতল রাস্তা হলেও পরেরটুকু আস্তে আস্তে উচুতে উঠতে থাকে। রাস্তাগুলো সাপের মত এমন বাঁক নিয়েছে যে উঠার সময় অনভ্যস্ত অনেকেই তা সহ্য করতে না পেরে বমি করে।
রাস্তার দু'পাশে গভীর বন-জংগল আর উঁচু উঁচু পাহাড়। পাহাড়ের খাঁজে আবার মানুষের ঘরবাড়ি। মাঝে মাঝে কোন রাস্তার বাঁকে টং ঘরের মত জায়গায় সেখানকার লোকেরা শাক-সবজি ও বিভিন্ন ফল-মূল নিয়ে বসে থাকে খদ্দেরের আশায়।
মূল শহরে ঢোকার পর বাসস্টান্ডে অনেক ট্যাক্সি থাকে। তার একটি ভাড়া করে আপনি পুরা শহর ঘুরে দেখতে পারেন।
ভাড়া সম্ভবত ১০০/১৫০ রিংগিত নিতে পারে সারাদিন। সেখানে
টি-গার্ডেন, ষ্ট্রবেরী গার্ডেন, বাটারফ্লাই গার্ডেন এবং বিভিন্ন ফুলের বাগান আছে।
টি-গার্ডেনগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। কারণ চা'পাতাগুলো সব এক সাইজের। কোন ছোট-বড় নেই।
সব সময় তারা এর পরিচর্যা করে। রাস্তার চারপাশে শুধু টি-গার্ডেনের ছড়াছড়ি।
এখানে প্রচুর ষ্ট্রবেরী গার্ডেন আছে। কাঁচা পাকা সব ধরনের ষ্ট্রবেরী এখানে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। তাছাড়া ষ্ট্রবেরী দিয়ে বানানো বিভিন্ন রকমের আচারও এখানে পাওয়া যায়।
ক্যামেরুন হাইল্যান্ড পরিচিত বিশেষ করে ফুলের বাগানের জন্য। এখানে ফুলের চাষ করা হয়। সে ফুল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হয়। এসব ফুলের বাগানে অনেক বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করে। বাগানে কত ধরনের সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ যে আছে ভাষায় বর্ণনা করে বুঝানো যাবে না।
সেখানে একবার গেলে আর ফিরে আসতে মন চাই না।
বাটারফ্লাই গার্ডেন যদিও আর্টিফিশিয়াল তবুও খুব সুন্দর লাগে। এখানে প্রচুর তাজা শাক-সবজী পাওয়া যায় খুব অল্প দামে। হোটেল, ফ্লাট এবং বাড়িগুলো পাহাড়ের উপরে অবস্থিত হওয়ায় দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।
মালয়েশিয়ায় আসলে সময় থাকলে ক্যামেরুন হাইল্যান্ড ঘুরে আসতে পারেন।
আশা করি ভাল লাগবে।
চলবে..........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।