এতে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির নৃগোষ্ঠীভিত্তিক রাজনৈতিক মেরুকরণ প্রবণতা বাড়ছে বলে প্রকাশ পেয়েছে।
তার আমলে অর্থনীতির আরো শক্ত অবস্থান ও দেশের দরিদ্রদের জন্য ২শ’ ৬০ কোটি ডলার ব্যয় করা সত্ত্বেও রোববারের নির্বাচনে কাঙ্খিত সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় নিজ দলের মধ্যে নাজিবের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
নির্বাচনে পার্লামেন্টের ২শ’ ২২টি আসনের মধ্যে নাজিবের ন্যাশনাল ফ্রন্ট ১শ’ ৩৩টি আসনে জয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে, কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে পাওয়া ১শ’ ৪০ আসন থেকে এবার ৭টি আসন হাতছাড়া হয়েছে।
অপরদিকে বিরোধীদলের আসন সংখ্যা বেড়েছে। গতবারের ৮২টির জায়গায় এবার তারা ৮৯টি আসন পেয়েছে।
আগের মতোই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয় নৃগোষ্ঠীর একচেটিয়া সমর্থন পেয়েছে ক্ষমতাসীন জোট। কিন্তু এবারও এক-চতুর্থাংশ জনসংখ্যার চীনা নৃগোষ্ঠীর ভোটারদের ন্যাশনাল ফ্রন্ট ছেড়ে যাওয়ার ধারা গতবারের তুলনায় আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীনা নৃগোষ্ঠীর ভোটাররা বিরোধীদলের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এর কারণ, দুর্নীতি রোধে বিরোধীদলের প্রতিশ্রুতি ও নৃগোষ্ঠীভিত্তিক রাজনৈতিক কৌশল প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান। ক্ষমতাসীন জোটের নৃগোষ্ঠীভিত্তিক রাজনৈতিক কৌশলের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাদীক্ষা ও আবাসনে মালয়রা প্রাধান্য পেয়ে আসছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।