আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতির বাপের আমল-৩ ---ত্রাণ বিতরণ



এখন বন্যায় চলছে ত্রাণের পালা.......রাজনৈতিক ভাবে ত্রাণ বিতরণ নিষিদ্ধ.......তয় আমাগো জাতির বাপে ক্যামনে বানভাসিগো রে সাহায্য করসিলো আর জিনিসপত্রের দাম কমাইসিলো একটু দেইখা আহি ......কি কন? (লরেন্স লিফসুলজ, ফার ইস্টার্ন ইকনোমিক রিভিউ, ২৫ অক্টোবর , ১৯৭৪) সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে হঠাৎ করে চালের দাম মণপ্রতি ৪০০ টাকায় উঠে গেল। অর্থাৎ তিন বছর আগে -স্বাধীনতার পূর্বে যে দাম ছিল , এই দাম তার দশ গুণ। এই মূল্যবৃদ্ধিকে এইভাবে তুলনা করা যায় যে , একটি মার্কিন পরিবার তিন বছর আগে যে রুটি ৪০ সেন্ট দিয়ে কিনেছে , তা আজ কিনছে ৪ পাউন্ড দিয়ে। কালোবাজারে অর্থনীতির কারসাজিতেই এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটে । ২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবার প্রাক্কালে শেখ মুজিব ঘোষনা করলেন যে , প্রতি ইউনিয়নে একটি করে মোট ৪৩০০ লংগরখানা খোলা হবে।

প্রতি ইউনিয়নের জন্য রোজ বরাদ্দ হল দু'মন ময়দা , যা এখানকার লোকের প্রতিদিনের জন্য মাথাপিছু একটি রুটির জন্যও যথেষ্ট নয়। অথচ কোন ইউনিয়নের জনসংখ্যা এক লাখেরও বেশী। এই রিলিফ সেখানে আচড়ও কাটবে না । এমন অভিযোগও রয়েছে , সরকারী গুদাম থেকে যে খাদ্যশস্য বের করা হয় , তার বেশীরভাগই সাধারণ বেসামরিক লোকদের কাছে পৌছায় না। বিশেষ ডিফেন্স রেশনিং প্রথায় তা চলে যায় প্যারা মিলিটারী সৈন্যবাহিনী ও সশস্র পুলিশ বাহিনীর কাছে, যারা এমনিতেই অতি নিম্নমানে পুরো রেশন পেয়ে থাকে।

কৃষি বিভাগের একজন উচ্চপদস্থ কর্মচারীর মতে, সরকারের বর্টমান স্ট্র্যাটেজী হলো , ঢাকা , চট্টগ্রাম , খুলনা , সৈয়দপুর , প্রভৃতি রেশনিং এলাকায় লোকদের রেশন সরবরাহ করে যাওয়া। কেননা , এগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। বড় রকমের বিক্ষোভ এড়াতে হলে এসব শহর এলাকায় কন্ট্রোল করে খাদ্যশস্য পরিমাণে যত স্বল্পই হোক না কেন -সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে হবে। এসবের কোন প্রতিবাদ নেই , কারণ , বিরোধী প্রতিবাদী নেতৃবৃন্দের অধিকাংশকে সরকার কারারুদ্ধ করে রেখেছে......। >>চলছে চলবে>>


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.