আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রচেত্য’র না বলা কিছু কথা, কল্পনার স্বপ্নে যা দেখা !

নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .

ভালবেসে যে মেয়েটিকে বিয়ে করেছে তার বাবা একজন সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি, পক্ষান্তরে প্রচেত্যর সমাজে তেমন কোন পাওয়ার স্টাটাস নেই। মেয়েটির সাথে সখ্যতা হবার পর থেকেই যখন বুঝতে পারে বাস্তবতার মিল-অমিলগুলি তখনই এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করতে থাকে, কিন্ত সময় ততক্ষনে অনেক গড়িয়ে গিয়েছে। ইচ্ছে করলেও পিছনে ফিরে আসার কোন সুযোগ ছিলনা, তাই বাবা-মা এর অমতেই সংসারের বড় সন্তান প্রচেত্য মেয়েটিকে বিয়ে করে ফেলে। বিয়ের প্রথম দিকের পর্বগুলো বেশ রোমাঞ্চকর ছিল, যতই সময় পার হয়, সংসারের দৈন্যতা, কষ্টগুলো তীব্র হতে থাকে ততই মেয়েটির মানসিকতার পরিবর্তন আসতে থাকে। প্রচেত্য যা আয় করে তা দিয়ে শুধু সংসার চালানোই সম্ভব, প্রচেত্যও বুঝে কিন্তু এর বাহিরে প্রচেত্যর কিছু করার নেই।

স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্কটাও কেমন হালকা হতে থাকে। দিন পেরিয়ে বছর যেতেই প্রচেত্য বাবা হয়। একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তানের বাবা। মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ বলে কথা, সুখের পিছনে দুখ:ও আছে তাই স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দটা এমন পর্যায়ে পৌছলো সন্তান জন্মের বছর দেড়েক যেতেই দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল। প্রচেত্য’র স্ত্রী তার বাবার বাড়ীতে চলে গেল।

প্রচেত্যর শূন্য ঘরে রয়ে গেল তার মেয়ে সন্তানটি। যে সন্তানই প্রচেত্যর জীবন, আশা, ভালবাসা। কোন দুখ: শোক তাকে যেন স্পর্শ করতে না পারে জীবনের যেকোন মূল্যেই তাকে বড় করতে থাকে এ পণে তাকে বড় করতে লাগল। “মা” কোথায় এ প্রশ্নে বার বার হোচট খেলেও যতদিন তাকে বুঝিয়ে রাখা যায় ততদিন আড়ালেই রেখেছিল। যখন বড় হয়ে বুঝতে শিখে তখন তাকে মা - এর আসল পরিচয় দেয়, সময় থেমে থাকেনা প্রচেত্যর সন্তানও বড় হয়, মেয়েটি মেডিক্যালে ভর্তি করায়, সংসারে প্রতিনিয়ত অভাবের সাথে যুদ্ধে মেয়েকে সঙ্গি করে এ পর্যন্ত এসেছে কিন্তু আর কতদূর যাওয়া যায়, এক পর্যায়ে মেয়েটির পড়ালেখাও বন্ধ হবার উপক্রম, তখন মেয়েটি তার নানার বাড়ীতে উঠে এবং সেখানেই তার মা-এর সাথে থেকে যাবার পরিকল্পনা করে।

প্রচেত্যর একা হয়ে পড়ে। এ জীবনে তার পাশে আর কাউকেউ খুজে পাওয়া গেলনা। বয়সও কম হয়নি, সাদা পাকা চুলগুলোকে কলপ মাখিয়ে বয়সকে চুরি করতে চাইনি, তাই এই বয়সেও সমস্ত কষ্টকে মেনে জীবনের অদৃষ্ট লিখন বলে চালিয়ে দিল প্রচেত্য। মেয়ে আর মা এসেছে প্রচেত্য’র বাড়ীতে, আবার নতুন করে স্ত্রী মর্যাদায় আসতে চায়, জীবনের অতীতকে ফেলে বর্তমানকে সুন্দর করতে চায়। কিন্তু বিধাাতার ইচ্ছা হয়তবা অন্য কিছু, তাই বাড়ীতে এসে একটি তালা ঝুলতে দেখে অফিসেও খোজ নিয়ে জানা যায় চাকরীও ছেড়ে দিয়েছে।

কোথায় প্রচেত্য, প্রচেত্যকে আর পাওয়া যায়না, প্রচেত্য হারিয়ে যায়, সত্যি কি হারিয়ে যায় না লোকচক্ষুর আড়ালে প্রচেত্য নিজেকে লুকিয়ে রাখে? [[ আমার কল্পনার জগতের অসংখ্য স্বপ্নের একটি স্বপ্ন এটি ]]]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।