ত্রাণের অভাবে দেশের লাখ লাখ মানুষের জীবন যখন চরম হুমকির সম্মূখীন ঠিক তখনই জরুরি অবস্থার ধুয়ো তুলে বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহে বাধা প্রদান করলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর। আজ বুধবার সকালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর ত্রাণ সংগ্রহের সময় প্রোক্টর এনামুল হক পুলিশ বাহিনী দিয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। রাবি প্রশাসনের এমন অমানবিক আচরণে হতবাক হয়ে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রাবি প্রোক্টরের এমন কাজের প্রতিবাদে রবীন্দ্রকলা ভবন প্রাঙ্গণে সামাজিক সংগঠন হিসেবে ছোট কাগজ ‘অভীপ্সা’ আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমানে পুরো বাংলাদেশটাই বন্যা কবলিত।
বন্যার্তদের জন্য সরকারী মাথাপিছু ত্রাণের পরিমাণ এখন মাত্র একটাকা দশ পয়সা। এ অবস্থায় দেশের প্রতি দায়িত্ব অনুভব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাঁধন, রোটার্যাক্ট ক্লাব, চারণ, আমরা সিরাজগঞ্জবাসী ও ছোট কাগজ অভিপ্সা বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অর্থ সংগ্রহ শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তাÑকর্মচারীরা এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়াও প্রদানও করে। কিন্তু
হঠাৎ করেই রাবি প্রক্টরের নের্তৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে জরুরি অবস্থার অজুহাত ও পুলিশ কমিশনারের অনুমতি না থাকার যুক্তি দেখিয়ে বলপ্রয়োগ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুরোর ত্রাণ সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে রাবি প্রোক্টর ড. এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কমিশনারের অনুমতি না নেয়ায় পুলিশ দিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগের বছরগুলোতে তো পুলিশ কমিশনারের কোন অনুমতি লাগেনি, তবে এখন লাগবে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রোক্টর থতমত খেয়ে বলেন, এখন পুলিশ কমিশনারের অনুমতি না নিলে সমস্যা হতেও তো পারে। #
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।