বিক্ষিপ্ত জীবন. . . কখনো হাসায় . . . কখনো কাদাঁয় . . . আবার কখনো নির্ভেজাল অন্ধকার ঘিরে ফেলে চারদিক থেকে . . .
বাঙ্গালী পতন দেখতে খুব ভালোবাসে। আর তাই র্যাংগস ভাঙ্গতে দেখে আনন্দে আত্বহারা অনেকেই। র্যাংগস ভাঙ্গা হবে এবং সেখান থেকে যদি কোনদিন রাস্তা করা হয়, তাহলে যানজট কমবে। সাধারন যুক্তি এটি। যদি সরকারকে প্রশ্ন করা হয়, কোন রিসার্চের উপর ভিত্তি করে এই ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে ? উত্তর পাবেন না।
কারন এটা কোন রিসার্চ করে বলা না, ধারনা করে বলা।
যেমনটা ধারনা করে তৈরি করা হয়েছিলো মহাখালী ফ্লাইওভার। তৈরির পরে দেখা গেলো যানজট আরো বেড়েছে, তবে যানজটের অবস্থান একটু এদিক সেদিক হয়েছে। র্যাংগস ভবনের পেছনে যারা গিয়েছেন তারা দেখে থাকবেন যে বড় রাস্তা করতে গেলে র্যাংগস ভবন একাই বাধা নয়, অন্তত্ব্য আরো কয়েকশো ছোট ছোট বাড়ী ভেঙ্গে রাস্তার জায়গা বের করতে হবে যা আদতে অনেকটাই অসম্ভব ব্যাপার। আর রাস্তার যদি প্রয়োজনই হয় তাহলে র্যাংগস ভবনের নিচে দিয়ে কানেক্ট করা যায়, পুরো বিল্ডিং ভাঙ্গার প্রয়োজন হয় না।
একটা মৃত এয়ারপোর্ট এর অজুহাতে ভাঙ্গা হচ্ছে র্যাংগস এর উপরের ১৬টি তলা। বলা হচ্ছে বিমান উঠতে নামতে গেলে এটি একটি বাধা। কি হাস্যকর কথা। র্যাংগস ভবন যদি বাধা হয় তাহলে ভাসানী নভোথিয়েটারওতো বিমান উঠা নামায় একটি বড় বাধা। সেটাকে ভাঙ্গা হচ্ছে না কেন ?
মইনুল হোসেন ভুবন বিস্তৃত হাসি দিয়ে বললেন আমরাতো জরিমানা নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারতাম।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে করলেন না কেন ?
জরিমানা নিয়ে সমস্যার সমাধান করলে এটা কি একটি ভালো উদ্যোগ হতো না? তাহলে পাঁচ হাজার মানুষ হঠাৎ করে বিপদে পড়তো না। একটি চলমান ব্যবসা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হতো না। দেশের অর্থনীতিতে র্যাংগস এতটা গুরুত্বহীন নয় যে এটা নিয়ে যখন তখন যা খুশি করা যাবে। তারচেয়ে বড় কথা সম্পদ ধ্বংস করবো কেন? অবৈধ হলে সেটাতো আরো অনেকভাবে সমাধান করা যায়।
আজকে দেশ তলিয়ে যাচ্ছে পানিতে, আর মিডিয়া দৌড়াচ্ছে র্যাংগস ভবন নিয়ে।
চমৎকারভাবে সরকার মিডিয়ার দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিয়েছে বন্যা থেকে। সত্যিই খুব অবাক হই দেশের এমন অদুরদর্শী কর্ম প্রক্রিয়া দেখে ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।