আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
ভারতের শিল্পী কৈলাস খের এর একটা মাথা নষ্ট গান শুনতাছিবারবার, টাইটেল 'সাইয়া'।
মনের মধ্যে একটা কান্দন আসতাছে কিন্তু চক্ষু আমার কবে শুকাইছে আমি নিজেও কইতে পারিনা। শৈশব কাটছে ফরিদপুর শহরে, ছবির মতো ছিলো আমাদের তালতলার মাঠ।
মনে পড়ে সে একদিন বললো সে নাকি হাত দেখতে পারে।
আমি ছিলাম এক নম্বরের ভুদাই! বইলা বসলাম আমি এইসব বিশ্বাস করি না। তবু সে অনেকক্ষন হাত দেখলো। আমি বুঝি নাই। আমি আসলেই গাধা ছিলাম। যখন বুঝতে পারলাম তখন অলরেডি ম্যাট্রিক দিয়া বাংলাদেশ ট্যুর খতম করলাম, আইসা দেখি ওরা স্বপরিবারে ফরিদপুর ছেড়েছে।
কেউ ওগো ঠিকানা রাখে নাই। মনের মধ্যে একটা ব্যাথা অনুভব করলাম। তারপর ঢাকায় চলে আসলাম। ইন্টার শুরু করলাম। দিন যায় নতুন নতুন সম্পর্ক হয়, কিছু গড়ে কিছু ভাঙ্গে, যেন হাজারো বৈচিত্র্য জীবনে।
দিন কেটে যেত স্বপ্নের ঘোরে, রাত কেটে যেত নির্ঘুম তার ভাবনায়। বহু চেষ্টা করি ঠিকানা তার খুজে পাই না। ইন্টার পাশ করলাম, ইন্জিনিয়ারিংএ ভর্তি হলাম, হলে থেকে পেলাম অগাধ স্বাধীনতা, কিন্তু মনটা হ্য়তো দিয়ে রেখেছি বিনা অনুমতিতে বিনা নোটিশে অন্য কারো কাছে। একবার বরিশালে গিয়ে পুরো শহর চষে ফেললাম। দুদিন প্রায় না খাওয়া! কিন্তু অভাগা যেদিকে তাকায় মরুভূমি সেদিকে হায় হায়! পাশ করলাম নিজ পায়ে দাড়ালাম যা চাই তাই পাবার দলে, একদিন ফরিদপুরে গিয়ে শুনি তার বিয়ে হয়ে গেছে এবং বরিশালে সেটেল্ড।
আমি হেটে চলি কুমার নদীর পাড় ঘেষে। বর্ষার শীতল হাওয়া আমার চুল উড়িয়ে নিয়ে যায়, মনের ভেতর বইছিলো টর্নেডো। জানিনা কতক্ষণ হেটেছি! মোবাইলে ছিলো ৬৭টা মিসড কল, ফজরের আজানের সময় টেকেরহাটে নদীর পাড়ে গিয়ে শুয়ে কেদেছিলাম আকাশ দেখে। বহুদিন পর কেদেছিলাম।
কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম বরিশালে।
ভাবেছিলাম দেখা করবো তার সাথে। একটা প্রশ্ন ছিলো মনে, " তুমি কেন আগে বল নাই এই গাধাটাকে?" আমার বলা হয় নাই। আমি যেন যুদ্ধের আগেই হার মেনেছি। ভাবলাম কি দরকার তার অশ্রু গড়িয়ে। হ্য়তো আমার হ্রদয়ে ঘটবে রক্তক্ষরণ।
তার অশ্রূ সহ্য করার শক্তি হ্য়তো আমার থাকবে না। পুরো শহর ঘুরেছি নিঃসঙ্গ পথিকের মতো শত ভিড়ের মাঝে। এ যেন আমি দেখছি আমার নৌকা ডুবে যাচ্ছে আমারি সামনে, আর আমি উদাস হয়ে উপভোগ করছি আমার মৃত্যু।
এখনও ভীড়ের মাঝেও আমি নিঃসঙ্গ, শত সম্পর্কের মাঝেও আমি সম্পর্কহীন।
যদি টাইম মেশিনটা পেতাম, তাহলে হ্য়তো শৈশবে আমার মাথার স্ক্রগুলো টাইট দিয়ে আসতাম।
আমি অভাগা তাই শুনছি শুধু শুনছি কৈলাস খের এই অনবদ্য গান। আর নেই কোন অশ্রূ অবশিষ্ট।
তুমি কি আমার মাঝে
না আমি তোমার মাঝে
নাকি দুজন দুজনাতে
একই বিন্দুতে ঘুরছি বারবার
এত দ্রুত নয় শেষ হবার!
অনন্ত এ রাত নিঃশব্দ নীল চাদ
ঘনঘোর আধারে শুষে নেয় দুর্ভাবনা
হালকা কুয়াশায় দ্রবীভূত সকল ভাবনা
মন জাগে কামনা, তোমার পরশ কি পাব না?
চারিদিক ভেসে গেছে পূর্ণিমার প্লাবন
হাবুডুবু খাচ্ছে আমাদের সম্পর্ক কখন কেমন?
হারিয়ে গেছে জানিনা কখন এ মন
তোমার চোখের তারায় খুজি সুখের ঠিকানা
কলন্ক কে লাগালো তোমার, চাদ তুমি জান না?
আমি জানি না! জানি না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।