ফয়সল আবদুল্লাহ
এই আষাঢ়েও আচমকা গরম। মনে হবে 'বরফ পড়া দেশের বাসিন্দারা না জানি কত আরামে আছে!' আর নরওয়ে হলে তো কথাই নেই, দিন নেই রাত নেই, সবসময় বিকেলের কোমলতা (৬ মাস অবশ্য সন্ধা থাকে)। এই জন্যেই হয়তো নরওয়ের বাসিন্দাদের ব্রহ্মতালু গড়পড়তায় শীতল। কেননা, সাম্প্রতিক গ্লোবাল পিস ইনডেক্সের (জিপিআই) শান্তির রেটিং-এ ১২১টি দেশের মধ্যে শীর্ষে নরওয়ে। তুষার ঝড়কে ছাপিয়ে দেশটির আকাশে-বাতাসে শান্তির সুবাতাস।
আর আমাদের বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬। নিজেদের অবস্থান শুনে কিঞ্চিত ভ্রু কোঁচকাতে পারে। 'কেমন আছেন?' এর উত্তরে এভারেজে নব্বই ভাগের উত্তর তো 'এই তো, ভালোই'। বিবিসির জরিপের মতো এ প্রশ্নটা এবার সেভাবে করা হয়নি (বিবিসির জরিপে বাংলাদেশ একবার শান্তিতে শীর্ষস্থান পেয়েছিল)। তবু এখন তো চারদিকে শনৈ শনৈ শান্তি।
কাঁথা-বালিশের ফাঁক থেকেও ঝেড়ে বের করা হচ্ছে দূর্নীতি। তারপরও এতো পিছিয়ে কেন আমরা?
পাশের দেশ ভারতের অবস্থান ১০৯। বার্মার চেয়েও নিচে! 'শাইনিং ইন্ডিয়া'র বাসিন্দাদের মধ্যে ভায়োলেন্সের প্রবণতা কি এতই বেশি! আর ১১ ধাপ পরেই তো ইরাক (অবস্থান সবার শেষে)।
শ্রীলংকা আছে ১১১তম অবস্থানে। তামিল টাইগার ও সরকারের সংঘর্ষই এর মূল কারণ।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা দেশটিকে নিয়ে গেছে ১১৫ নম্বর অবস্থানে। জিপিআই-এর মানচিত্রে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলটা তাই লাল হয়ে আছে। অর্থাত শান্তি এখানে লোটাকম্বল নিয়ে প্রস্তুত, যেকোন মুহূর্তে পিঠটান দিতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।