চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
এলিট গোত্রের ব্লগার সম্পর্কে জানা অজানা দুধরনের ভীতিই সবসময় আমার মনে কাজ করে। জানা ভীতিটা হল এই যে, লেখাটা ওনাদের মনঃপুত না হলে গালাগালি আর ধমকের আশংকা থাকে আর অজানা ভীতিটা হল তাদের জ্ঞানের পরিধির সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হওয়া, তেনারা সবকিছুই এতবেশি জানেন যে তাদের সামনে কিছু বলতে যওয়াটাই না শেষ পর্যন্ত মুর্খতার পর্যায়ে পড়ে। তাই সবসময়েই চেষ্টা থাকে রয়েসয়ে বলার। তারপরও শেষ রক্ষা হ্য়নি।
গতবারের পোষ্টে লিখেছিলাম, পৃথিবীর সবচাইতে গরীব দেশগুলোর একটি আমরা।
আর যায় কই, দেশের বিরুদ্বে অপপ্রচার, কেমিকেল আলী সাহেব হুমকি দিলেন লাইনটি মুছে ফেলার। নইলে গালাগালি শুরু হবে। রেফারেন্স দিলাম যুতসই হ্য়নি। আমাকে ছাগল ভেবে নসিহত করা শুরু করলেন।
আসলে ওনারা জ্ঞানের এমন এক দরজায় পৌছে গেছেন যে আর সবাইকে ওনাদের ছাগল বলেই মনে হয়।
ভাগ্যক্রমে একটি দাতা সংস্থায় কাজ করি আমি । সেই সংস্থার প্রধান ইকোনোমিষ্টের শরনাপন্ন হলাম। ওনি বললেন আমরা এলডিসির অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ পৃথিবীর সবচাইতে গরীব দেশগুলোর একটি আমরা। ইউএন রিপোর্ট দেখে নিন।
Click This Link
আমি যদ্দুর জানি কেমিকেল আলী সাহেব আপনি কানাডা প্রবাসী।
আশাকরি দেশপ্রেমে খুব তাড়াতাড়িই দেশে ফিরবেন দেশের স্বার্থে। কানাডায় ইমিগ্রন্ট হয়ে যাবেন না। শেষ করছি শীর্ষেন্দুর মানবজীবন উপন্যাসের একটি চরিত্রের কথা দিয়ে। কমিউনিজমের এই যোদ্বা সারাজীবন দেশকে ভালবেসে শেষে তদ্ববির করে ভিসা যোগার করে আমেরিকায় পাড়ি যমান।
দেশের স্বার্থে, হাঃ হাঃ হাঃ...
(কেমিকেল সাহেব, দয়া করে ওকিপিডিয়ায় গিয়ে এলডিসি আর রেফারেন্সের অর্থ দেখে নিন। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।