যায়যায়দিন প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট কতগুলি অভিযোগ উত্থাপন করা হেয়েছে। বিপ্লব রহমান এর কোন জবাব না দিয়ে কোন কারণ ছাড়াই পত্রিকাটির সমালচনা করেছেন। আপনি সুনির্দিষ্ট ভাবে নিম্নলিখিত প্রশ্নের জবাব দেন।
প্রশ্ন ১। কি কারনে বাঙালিদের জীবন-জীবিকা, শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা, বসবাস সবকিছুর নিয়ন্ত্রক করবে উপজাতি নেতারা? এটাকি স্বাধীন কোন দেশ?
প্রশ্ন ২।
কি কারনে ঐ এলাকায় বসবাস, ফসল লাগানো কিংবা বিক্রি করতে হলে উপজাতিদের নিয়মিত চাদা দিতে হবে? এবং কি কারনে উপজাতিদের কথার বাইরে গেলে বাঙালিদের জীবন দিতে হয়?
প্রশ্ন ৩। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে উপজাতিদের সিদ্ধান্তই প্রথম এবং শেষ কথা কেন? তিন পার্বত্য জেলা কি বাংলাদেশের বাইরে কোন স্বাধীন রাষ্ট্র? বাংলাদেশ সরকারের বাইরে কেন ওখানে এখনো চলে পাহাড়িদের শাসন?
প্রশ্ন ৪। ৪৮ ভাগ বাঙালি হওয়া সত্ত্বেও পার্বত্য অঞ্চলে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে শতকরা ৮০ ভাগ চাকরির সুবিধা ভোগ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতিরা। বাকি ২০ ভাগ ক্ষুদ্র উপজাতি জনগোষ্ঠী ও বাঙালিদের জন্য। কেন?
প্রশ্ন ৫।
শান্তি চুক্তি অনুযায়ী উপজাতিরা পার্বত্য অঞ্চলের যে কোনো জায়গায় জমি কিনতে পারবে। কিন্তু বাঙালিদের জন্য জমি কেনার ক্ষেত্রে রয়েছে নানা জটিলতা। স্বাধীনদেশে এই বৈষম্য কেন?
প্রশ্ন ৬। বাঙালিদের ভোটাধিকারের ক্ষেত্রেও রয়েছে বৈষম্য। তিন পার্বত্য জেলায় জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্যে রাঙামাটিতে উপজাতিদের জন্য ২৩ আসন, বাঙালিদের জন্য ১১।
বান্দরবানে উপজাতিদের জন্য ২২, বাঙালিদের জন্য ১২। খাগড়াছড়িতে উপজাতিদের জন্য ২৪, বাঙালিদের জন্য ১০ আসন বরাদ্দ রয়েছে। আঞ্চলিক পরিষদে ২২ সদস্যের মধ্যে ১৫ জন উপজাতি ও মাত্র সাতজন বাঙালি সদস্য। কেন এই বৈষম্য?
প্রশ্ন ৭। শান্তি চুক্তি অনুযায়ী আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরের প্রধান হবেন উপজাতি।
সে কারণে এ দুটি সরকারি দফতর থেকে বাঙালিরা কোনো রকম সুবিধা পায় না। কেননা এ দুই দফতর প্রধান তাদের নিজেদের জাতি গোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সব সরকারি বরাদ্দ বণ্টন করে থাকে। জাতিগত বৈষম্যের শিকার হয়ে বাঙালিরা এ দুই দফতরের সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। কেন বাঙালির প্রতি জাতিগত বৈষম্য করা হচ্ছে?
প্রশ্ন ৮। শিক্ষা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার এখানকার বাঙালিরা।
উপজাতিদের জন্য দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে ২১৭টি আসনসহ প্রচুর সুযোগ সুবিধা আছে। কিন্তু এ অঞ্চলে বাঙালিদের জন্য কোনো আসন বরাদ্দ তো দূরের কথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় ‘বাঙালি’ পরিচয়টা মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও অভিশাপ হয়ে দাড়ায়। কেন শিক্ষা ক্ষেত্রে বাঙালীদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে?
প্রশ্ন ৯। বার্ষিক বরাদ্দকৃত ৯৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্যের মধ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন বিশেষভাবে বরাদ্দ করা হয় উপজাতিদের জন্য। অবশিষ্ট অংশ বণ্টন করা হয় শরণার্থী, গুচ্ছগ্রাম ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়নে।
এ ক্ষেত্রে বাঙালিদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। কেন বাঙালিদের জন্য কোন বরাদ্দ নাই?
প্রশ্ন ১০। কেন বাঙালিদের উপজাতিরা অবৈধ ও অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে?
প্রশ্ন ১১। যেখানে বাঙালি বাস করে সেখানে কেন কোনো উন্নয়ন কর্মকান্ড হয় না?
প্রশ্ন ১২। কেন উন্নয়ন বরাদ্দের শতকরা ৯০ ভাগ উপজাতিদের জন্য ব্যয় করা হয়?
প্রশ্ন ১৩।
কেন এবং কি অপরাধে বাঙালিদের ব্যবসা করতে দেয়া হয় না?
প্রশ্ন ১৪। কেন চাকমারা পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালিদের অস্তিত্ব সহ্য করতে পারে না? পার্বত্য চট্টগ্রাম কি বাংলাদেশের অংশ না?
প্রশ্ন ১৫। কেন বাঙালিদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে?
প্রশ্নগুলির সুনির্দিষ্ট জবাব চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।