আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যায়যায়দিন এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে (সংক্ষেপিত)

ছাত্র

মিডিয়া প্রসঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আমিও (শফিক রেহমান) যে ওই অবৈধ সরকারের (বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার), সময়ে মানব অধিকার লংঘনের ঘটনার শিকার হয়েছিলাম তা আজ আপনাদের জানাতে চাই। ওই সময়ে আমার পচিশ বছরের কষ্টে গড়া যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক আমি ছিলাম। আমি রাজি হইনি গোয়েন্দা সংস্থার সাপ্লাই করা সিডির বিবরণ বা দুর্নীতিবাজদের লিস্ট ছাপতে। বরং আমি ছেপেছিলাম বিএনপি কর্মীদের হাতে বিএনপির জনৈক সংস্কারপন্থী নেতার জুতাপেটা হবার ফটো। আমি ছেপেছিলাম তদানীন্তন সেনা প্রধানের আলু প্রেম এবং চূড়ান্ত ক্ষমতা দখলের অভিলাষ সম্পর্কে।

আমি লিখেছিলাম দুই নেত্রী মাইনাস থেকে প্লাস হয়ে যাবেন, তিন উদ্দীনই মাইনাস হয়ে যাবেন। এর ফলে আমি বিশেষ মহলের রোষানলে পড়েছিলাম। আমি খুশি যে আমার সেদিনের সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়েছে। তবে আমি দুঃখিত যে আমার ওই সময়ের ভূমিকার কারণে যায়যায়দিন পত্রিকাটি হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। পত্রিকাটি আমি বিক্রি করিনি।

পত্রিকার সম্পাদক পদ থেকে আমি পদত্যাগও করিনি। লক্ষ্য করবেন, এখনো যায়যায়দিন পত্রিকার পেছনের পাতায় সম্পাদক রূপে কারো নাম নেই। তদানীন্তন সেনাপ্রধানের অসন্তোষ এবং অভিপ্রায় উল্লেখ করে এপ্রিল ২০০৮-এ নির্দেশ দেয়া হয়েছিল মাত্র তিন দিনের মধ্যে আমাকে সম্পাদকের পদ ছেড়ে দিতে হবে। প্রচণ্ড চাপের মুখে আমি বাধ্য হয়েছিলাম পাচ দিন পরে সেটাই করতে। আমি তখন কোনো আপোষ করতে রাজি হইনি।

কম্প্রোমাইজ করিনি। সেনা অফিসারদের সঙ্গে বিপ্লবী সম্পাদকদের মতো পিলখানায় লাঞ্চ খাইনি, গলফ ক্লাবে দহরম মহরম করিনি। বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তাই এ সম্পর্কে আর কিছু বলবো না। তবে আমি আশা করবো ভবিষ্যতে সম্মানিত আদালত আমার মানব অধিকার হরনের বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করবেন।

Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.