নোটিশবোর্ড
আমাদের বর্ধিত পরিবারের নতুন সদস্যদেরকে দিয়ে আসা কথা রাখতে আমরা আবারো গিয়েছিলাম চট্টগ্রামে। হুমায়ূনকে মনে আছে? ঘর হারানোর দু:স্বপ্নকে পেছনে ফেলে সে ভাড়া করেছে নতুন আরেকটি ঘর; আসবাবশূন্য। আগামী তিনমাস সহায়তা দেবার প্রথম ধাপ হিসেবে আমরা কিছু প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র তাকে কিনে দিয়ে এসেছি। তবে আমাদের দেখে হুমায়ূনের চোখে যে আনন্দ ফুটে উঠেছিল, তা কেবলমাত্র সাহায্য পাবার আনন্দ নয়; আপনজনকে ফিরে পাবার আনন্দের সাথে তার অনেক বেশি মিল ।
কথা বলা, দুর্গতদের এই ধারনা দেয়া যে সে একা নয়, এটিও আমাদের এই স্বল্পমেয়াদী সফরের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।
আমরা যতটা বেশি সম্ভব চেষ্টা করেছি আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্য দিয়ে। পাঁচটি পরিবারের সাথে আমরা দেখা করেছি, কথা বলেছি, উত্সাহ দিয়েছি এবং বোঝানোর চেষ্টা করেছি আমরা অর্থ সাহায্য যা দিয়ে তা নেহায়েত স্বল্প, মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে তাদের চেষ্টা করতে নিজেদেরই, শুরু করতে হবে পুরোনো কাজটি বা খুঁজে নিতে হবে নতুন কোন কাজ।
আমরা আনন্দিত যে আমরা ধ্বংস হয়ে যাওয়া মানুষদের দেখিনি বরং দেখেছি আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান নতুন দিন গড়ার অংগীকারাবদ্ধ কিছু মানুষকে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আসবেন এ কারনে সেনানিবাস এলাকায় প্রবেশ করতে অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন ঘন্টারও বেশী; কিন্তু সে কষ্ট আমরা ভুলে গেছি সাত ভাইবোন ও মাকে হারানো জান্নাতের কথা শুনে। তার মনে ছাইচাপা দু:খ; দেয়ালের গায়ে লিখে রেখেছে "মনে রেঁখ, কষ্টে(র?) নাম জীবন"।
কিন্তু আমাদের দেখে তার মুখে ভেসে উঠেছে আনন্দের আভা, বলেছে, "আমি নতুন ভাইদের পেয়েছি। "
মানুষগুলো অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে, নতুন জীবন গড়ে তুলবে । তাদের পাশে থাকতে পেরে, আমাদের কথা রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত। আপনারাও আমাদের পাশেই থাকুন ।
ছবি:
১. বেলায়েত, যিনি সাত সন্তানকে হারিয়েছেন, এই ভূমি ধ্বসে ।
২. হুমায়ূনের জিনিসপত্র ।
৩. নতুন বাসায় হুমায়ূন ।
৪. মা আর শিশু... এদের আর কেউ বেঁচে নেই... ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।