খুঁজছি.....
তীরন্দাজ,
আপনার দেয়া ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা সম্পর্কে বলছি।
আপনি যে সংজ্ঞা দিয়েছেন:
ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে এমনি এক শক্তি, এক পথ, দিগন্ত প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গী, যার প্রয়োগে একটি চার্চ, মসজিদ বা মন্দির তার অনুসারীদের উপর যে প্রভাব বিস্তার করে থাকে বা করতে পারে, সমাজের উপর সে প্রভাব খাটাতে পারে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই শক্তির প্রয়োগ করবে কে? রাষ্ট্র? রাষ্ট্র কি সমাজের উর্দ্ধে কিছু? সমাজ বিচ্ছিন্ন?
একটি চার্চ, মসজিদ, সিনাগগ অথবা মন্দির তার তার অনুসারীদের উপর যে প্রভাব বিস্তার করে সমাজের উপর সে প্রভাব না পড়ে কিভাবে? ধর্ম যদি ব্যাক্তিমানুষের চর্চার বিষয় হয়, সমাজ সেই ব্যক্তিমানুষের সমষ্টি। সমাজের বেশীরভাগ মানুষ যে ধর্মে বিশ্বাস করে সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে সেই ধর্মের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া স্বাভাবিক। কেননা সব ধর্মই নিজস্ব নীতিবোধ সমৃদ্ধ এবং সমাজ জীবনের ক্ষুদ্রতম অনুষঙ্গ সম্পর্কেও সব ধর্মের নিজস্ব বিধান রয়েছে।
অতএব, একই সমাজে বসবাসরত ভিন্ন দুই বা ততোধিক ধর্মের ভেতর সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে মতপার্থক্য আসবেই।
গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বলা হয় জনগনের সিন্ধান্তই রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত। বাস্তবে দেখা যায় এধরণের ধর্মিয় কিছু সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই রাষ্ট্র গনতান্ত্রিক। গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাষ্ট্রকাঠামোর ক্ষতি হয়না এরকম দু'একটা সুড়সুড়ি দেয়া (ধর্মিয় অনুভুতিসমৃদ্ধ!!) সিদ্ধান্তই সংখ্যাগরিষ্ট জনগনের চাপে নেয়া ( পাবলিক সেন্টিমেন্ট এর দোহাই দিয়ে) হয়। ভোটের ব্যাপারটা ভুলে গেলে তো চলে না! অথচ, জনগনের মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে সংখ্যাগরিষ্টতার দাবী কখনো বিবেচিত হয়েছে?
অতএব, দেখা যাচ্ছে, সকল গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ট ধর্মের মানুষদের দ্বারা সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বিদের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে, এটাই গনতন্ত্রের একমাত্র উপপাদ্য।
এ অবস্থায় ধর্মনিরপেক্ষতা কাঁঠালের আমসত্ব ছাড়া কিছুই নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।