কাইচ্যাকোনার ভূমিধ্বসের শিকার সবার মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ মনে হয় আকলিমা । বাবা আর ছোট তিন বোনকে সে হারিয়েছে, গুরুতর আহত তার মা এখন মিলিটারী হাসপাতালে । আঠারো বছরের অসহায় আকলিমা একটা স্কুলে আপাতত আশ্রয় নিয়েছে।
এখানে ছবিগুলোতে মোটামুটি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে আকলিমার দুর্দশা; যে বস্তিটিতে তারা থাকত সেখানে সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শুধু একটা দেয়াল । যেখানে একদিন ছিল একটি সুখী পরিবারের বাসস্থান, আজ সেখানে কেবলই ধ্বংসস্তুপ।
হুমায়ূন এবং ফাহিনূরের মত আকলিমাকেও আমরা কথা দিয়ে এসেছি, আগামী তিনমাসের জন্য সবরকম সাহায্য তাকে আমরা দেব । তবে তারচেয়েও বড় কথা হলো সে এখন আমাদের বোন। যখনই আমরা কেউ চট্টগ্রাম যাব, দেখা করব তার সাথে । নতুন করে অর্থসাহায্য যদি না দিতে পারি, তবুও । অর্থ অবশ্যই বড় ব্যাপার, তবে অর্থ কখনোই ফিরিয়ে দিতে পারবে না তার পরিবারকে।
প্রচুর টাকা তার হাতে ধরিয়ে দেয়া যায়, কিন্তু সেটা হবে শুধু তার দূরের আত্মীয়দের ‘অভিভাবক’ হয়ে বসার জন্য যুৎসই প্রলোভন ! আমরা তাকে জীবনধারনের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যটুকু দেব, এবং প্রধানত চেষ্টা করব মানসিকভাবে তার পাশে থাকার।
কোন মানুষ যখন চারিদিকে শুধুই অন্ধকার দেখে, তখন মানুষই পারে আলোকবর্তিকা হয়ে আভির্ভূত হতে । আকলিমার মত মানুষগুলো এখন অন্ধকারে, আমরাই তাদের ফিরিয়ে দিতে পারি, আশার আলো, পথ দেখাতে পারি আলোকিত দিনের । কখনোই আমরা নিজেদের মনে হতে দেব না- “এটা আমার ব্যাপার নয়। ” আকলিমা আমাদের বোন; এখন তার প্রয়োজন আমাদেরই ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।