আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার না হলে ক্ষমতার আসল জায়গা ঘেরাও হবে’

সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায্য’ ও ‘গণবিরোধী’ আখ্যায়িত করে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব সংলগ্ন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পাশে প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভ করে তারা।  

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পাশে এই বিক্ষোভ হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি(সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল(বাসদ), গণফোরাম ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে এই বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন।

সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে কেবল জ্বালানি মন্ত্রণালয় নয়, সরকারের ক্ষমতার আসল জায়গা ঘেরাও করতে বাধ্য হব। ”

বক্তব্যের শুরুতে বামপন্থী এই নেতা সমাবেশে উপস্থিতদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন-“আপনারা কি ভালো আছেন?”

সমস্বরে উত্তর আসে- “না।

এসময় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষ ভালো নেই।

“সরকারের কাজ মানুষের দুঃখলাঘব করা। তাদের ওপর কোনো বোঝা চাপিয়ে দিলে জনগণ তা মানবে না। ”

বিদেশে তেলের দাম না বাড়লেও সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, “বর্তমান সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেশি-বিদেশি লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে।

বিদ্যুতের দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত ‘অন্যায্য’ ও ‘গণবিরোধী’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিদ্যুতের দাম বাড়ায় অর্থনীতির ওপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে। জনজীবনে এর প্রভাব পড়েছে। ”

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জাতীয় জীবনকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছে। দেশের মানুষের এটি প্রত্যাশিত ছিল না।

সরকারের ‘ভুল’ সিদ্ধান্তের মাশুল জনগণ দেবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, অবিলম্বে সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

   

পৃথক আরেক বিক্ষোভ সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার বলেন,

“রেন্টাল-কুইক রেন্টালের দুর্নীতির বোঝা জনগণ বইতে পারবে না।

“অন্যায় অনিয়ম করে নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে যারা ক্ষমতার এসেছে তারা ভবিষ্যতে জনগণের স্বার্থ বিরোধী আরো সিদ্ধান্ত নেবে। ”

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

এর অংশ হিসেবে আগামী ১৮ মার্চ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

সমাবেশে মোরশেফা মিশু বলেন, “বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অন্যায্য ও গণবিরোধী।

“জনগণের মতামতকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে সরকার দেশি-বিদেশি লুটেরা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ”

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতা সাইফুল হক, সিরাজ আহমেদ, শুধাংশু চক্রবর্তী, সংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী প্রমুখ  উপস্থিত ছিলেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.