আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কার্যকরী রুপরেখা



অনেকদিন ধরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় হাকডাক দিয়ে আসছে দুটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু কখনোই তারা চাইনি গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাক। তাদের মাথায় সবসময় ক্ষমতায় টিকে থাকা আর লুটপাট ছাড়া কিছুই উকি দেয় না। যে কারণে সরকারের মেয়াদ শেষে রক্তপাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। এতে করে দু'দলের প্রধান বা প্রথম, মাঝারী সারির নেতাদের কোন ক্ষতি হয় বলে জানা যায় না।

ক্ষতি হয় সেই সাধারণ মানুষটির যার আজন্ম স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের। জীবন দিতে তাকে বা তার পরিজনকে। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না এ সাধারণ মানুষ তথা আমজনতার। এজন্য সুবিধাভোগী বুদ্ধিবিত্তিক শ্রেণীর মানুষরাও নিজেদের সরকার বা বিরোধীদলের প্রধানের নজরে আসতে গণতন্ত্র রক্ষায় নানা পথ বাতলে দেয়। তবে তা সবসময় কথিত টক শো'র বক্সে বন্দি থেকে যায়।

যা নেত্রীর পছন্দ হয় তিনি পক্ষে থাকেন অন্যজন ভৱসনা করতে মেতে ওঠেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকে গণতন্ত্র রক্ষায় অনেক পদ্ধতি দেখিয়েছেন। কিন্তু সুবিধাভোগী বৃহত্তর রাজনৈতিক দলটি কোনভাবেই তা মেনে নিতে পারছেন না। কারণ নিজেদের তালগাছটা টিক থাকছে না। এ সমস্যার সমাধান হতে পারে যদি সুবিধাভোগী এ শ্রেণীর মত করে বিশ্লেষণ করে তাদের স্বার্থরক্ষার কোন রূপরেখা দেয়া যায়।

তেমন একটি রূপরেখার জন্যই আজকের লেখার জন্ম। আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি বিষয় স্থায়ী রুপ নিয়েছে। সেটি হলো সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাবার পর লুটপাট করা আর সে বিষয়ে বিরোধীদল মুখ খুললে তাকে কোনঠাসা করতে যা মনে চায় তাই করা। তাতে আগামীতে কি হবে তা ভাবার সময়ো হয় না। ফলে নির্বাচনের আগে সরকার জনপ্রিয়তা হারায়।

যা এ বর্তমান সরকারের বেলায় ঘটেছে। এ ঘটনা নতুন নয় আগেও ঘটেছে। তাই নতুন এ রূপরেখা সুবিধাভোগী দু'দলের কাছেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে। সাথে বন্ধ হবে রক্তপাত। আর যদি দু'দলের নেতারা চান তাহলে উন্নয়নের কাজটাও পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বেশ ভালো হবে।

রূপরেখার একমাত্র শিক্ষা হলো ভাগবাটোয়ারা। এটা দৃশ্যমান না হলেও আমাদের অভিজ্ঞতা মতে নেতারা তাদের অবৈধ আয়টা ঠিকই করতে পারবেন। এ ভাগবাটোয়ারা হবে নির্বাচনে মোট ভোটের কোন দল কত পার্সেন্ট পেয়েছে সে হিসেবে। ধরুণ নির্বাচনে বিএনপি জোট ৫১ শতাংশ, আওয়ামী লীগ জোট ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। সে হিসেবে সরকার বিএনপি গঠন করলেও ভোটের শতাংশ হিসেবে মন্ত্রীপরিষদসহ সব সেক্টরে কিছু পদ পাবে আওয়ামী লীগ।

এতে করে চুরি-পুকুর চুরি যা হোক। দু'পক্ষের লোকজন লাভ পাবে। যেহেতু এ দু'দল দৃশ্যমান হবে একসাথে আছে ফলে বিদেশী অনুদান প্রবাহ ঠিক থাকবে। এতে করে অবৈধ আয়ের সাথে জনজীবনের উন্নয়ন হবে। কারণ চুরি করতে গেলেতো কাজ করতে হবে।

সবচেয়ে বড় উপকার এর ফলে বিরোধীমত দমন করতে গিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে মামলার পিছনে দৌড়াতে হবে না। এতে হয়রানী কমার সাথে সাথে অহেতুক কাড়িকাড়ি টাকা খরচ বন্ধ হবে। অভিজ্ঞতা মতে বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা ৫ বছরে যা আয় করেন তার মোটা অংশ পরবর্তীতে মামলা চালাতে এবং কিছু হবে না তা নিশ্চিত হতে সরকার দলীয় নেতাদের তুষ্ট করতে খরচ করেন। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই পরবর্তীতে আবার ক্ষমতায় এলে তারা চুরি-পুকুর চুরির প্রতিযোগিতায় নামেন। ভাগবাটোয়ারার এ রূপরেখা নিয়ে রাজনীতি করলে নেতাদের চাহিদা পূরণ হ্ওয়ায় হয়তো দুর্নীতিও কমবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.