নজরুল রঙ্গ ও বিশ্ব সাহিত্য
********************************************
কম বুঝ সম্পন্ন এক মুল্লা নজরুল কে নিয়ে নানা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন । বলতেন মুসলিম কাজী পরিবারের ছেলে উচ্ছন্নে গেল ।
বাঁশি বাজায় বেলা অবেলায় , গান গায়
পালামঞ্চে নাছে আর কয় পদাবলি
আর সব বুদাই মানুষ যায় তার সাথে চলি ।
একদিন অনেক মানুষকে লয়ে কাজী নজরুল কে
করতে জব্দ ,পথিমধ্য দিল বাধা ।
মুল্লা বাহিনী ,দাড়াও কাজীর বেটা
আমাদের প্রশ্নের উত্তর দাও নয় দেশ ছেড়ে পালাও ।
নজরুল ,সুজা কি কথা তাই যাও কহে
নয় পড়ে গেঁড়া কলে মরবে দহে ।
মুল্লা , সারাটি পথ হাঁটি গাছের তলে মেল ছাতা
সূর্যের ঝাজ পড়ে মুখে ,উলটুঁ কেন তা ।
নজরুল , মুক্ত আকাশ নহে তাতে কোন ক্ষতি
যাব মসজিদে পাখিরা অযু ভঙ্গ করে যদি ।
বিষ্ঠা দিয়ে করে যদি যাত্রা ভঙ্গ
রইবে ক্ষুভ আশা থাকবে কি প্রভুর ন্যায় সঙ্গ ।
মুল্লা , সত্য কথা নহে মিছে অনু পরিমান
আচ্ছা এবার শুনি , সারাটি পথ চালিয়ে রথ
জুতা জুড়া লয়ে , যেথা কাদা সেথা কেন বাড়ালে ইজ্জত ।
নজরুল , হা হেসে কহে ভাল রাস্তা চোখে দেখে যাই
কাদাময় পথে থাকে যদি কাঁটা সেথায় দেই পায় ।
তবে থাকবেনা ভয় , হয়ে নিরাপদ
শত ক্রুশ দিয়ে পাড়ি মিলিবে ভুত ভবিষ্যৎ ।
মুল্লা জীবে দাগ কাটি মাথা নত করে
ছালাম দিল তারে জবাবের তরে ।
চিনের গভর্নর এলেন বাংলাদেশে কবিকে দেখতে , পথিক পথ
দেখালে রাজকিয় বেশভুসায় দেখল বনের কুটির এক ।
নজরুল তখন মিষ্টি গলা কুলে গাচ্ছিল গান ,।
গভর্নর নজরুল কে দেখে জিজ্ঞাসে কোথায় নজরুল
বিশ্ব কাঁপিল যার কণ্ঠের বজ্র ধ্বনিতে
মুচকি হাসি কহে নজরুল পার কিনা দেখ চিনিতে
থাকলে নয়ন সাথে।
কুর্ণিশ আর অভিবাদনে মিলিত হয় দুজন
চলে আলাপন ।
গভর্নর , বন্ধু কেন কুঁড়েঘরে পড়ে রও
তোমার দেব স্বর্গের রাজ প্রাসাদ
দেব মিটিয়ে যত রয় জগতের সাদ
যদি রাজি হও ।
নজরুল , বন্ধু সবি মিছে রয় যত স্বপ্ন
যাবে একদিন ধুলিস্যাৎ হয়ে
এই মাটির ধুলিকনা স্বর্গের চাইতেও বেশি প্রিয়
জেনে নিও ,এই মাটিতে মিশে্ , সবি যাবে ক্ষয়ে ।
জবাবে মাথা নিচু করে
দিল ছালাম পৌঁছায়ে জবাবের তরে ।
একদিন মুক্তি যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী এল কবিকে দেখতে ।
কি হে মহারথি আজি নিরব কেন হায়
তোমার রন হুংকারে ডাক ডুল বাজে
প্রেরনা জুগায় সৈনিকের গুড় রন সাজে
উট আবার গেয়ে সেই শিখল ভাঙ্গার গান এই অবেলায়
নজরুল নির্বাক চাহিয়া ক্ষনিকের তরে
ঝাড়িল কিছু সঞ্চিত অশ্রু বন্ধুর নেত্র হরে
নিরব রন সজ্জা নিরেট ভালবাসায়
লভিল ছালাম বীরের জাগ্রত ভাষায় ।
বাংলার বন্ধু আর যত বিদেশী আগত রাস্ট নায়ক
দিল সম্মান প্রান যখন লুটাইল খোদার দরবারে
লক্ষ কোটি প্রান তার আত্তার গমনে
রাসটীয় মর্যাদায় জাতীয় কবি দিয়ে স্বীকৃতি
বিনম্রে ছালাম ভেজে তার বিদ্রোহী আত্মায় । ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।