রাজাদা সবজান্তা হলেও পাড়ার বিপদে তারই ডাক পড়ে।
অপূর্বদার বাবা তখন ঘড়ির মিস্ত্রী। শুনেছি দেশ ভাগের আগে তিনি ঢাকার কোন ইঞ্জিনিয়ারীং কলেজের মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি খুব মদ খেতেন এবং অপূর্বদার মাকে মানে আমাদের মাসীমাকে পেটাতেন। এটা প্রায়ই হত।
রাজাদা প্রায়ই এটা দেখতেন আর ভাবতেন কিছু একটা না করলে পাড়ার ইজ্জত থাকেনা।
সেদিন রাজাদা সন্ধ্যে থেকেই প্রস্তুত। শীতের রাত। মেসোমশাই মানে অপূর্বদার বাবা অনেক রাত করে বাড়ি ফিরলেন। রাজাদার নির্দেশে আমরা মাসীমার খাটের তলায়।
মেসোমশাই মাসীমাকে প্রহার শুরু করতেই রাজাদার হুকুমে আমরা ওনাকে নিয়ে সোজা কলের পাড়ে। দুজনে মিলে কল পাম্প করে যাচ্ছি, রাজাদা মেসোমশাইকে নিয়ে কলের নিচে।
মেসোমশাই আর কোনদিন মদ খাননি। রাজাদার পরদিন থেকে নিমোনিয়া।
পরে শুনেছিলাম এই আইডিয়া অপূর্বদার মস্তিস্কপ্রসূত।
উনি তখন স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে। আর রাজাদা পাড়ার হিরো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।