পৃথিবীর বাইরে বসবাসের জন্য মঙ্গল গ্রহকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য স্থান বলে মনে করে থাকেন বিজ্ঞানীরা।
আর সেখানে বসতি স্থাপনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে সবাইকে যেন সেটাই জানান দিয়েছে আট বাংলাদেশিসহ বিশ্বের প্রায় এক লাখ পঁয়ষট্টি হাজার মানুষ। মঙ্গলে বসবাসের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করেন এমন বিশেষজ্ঞদের পরিষ্কার মতামত রয়েছে আগামী দশ বছরের মধ্যে এই লাল গ্রহটিতে উপনিবেশ স্থাপন করার। এ জন্য সম্প্রতি শুরু হওয়া মার্স ওয়ান নামে একটি প্রকল্পের কথা উঠে আসে। একেবারেই যে এটা অসম্ভব নয় সেটা বিশ্ববাসীর আগ্রহের দিকে তাকালেই অনুমান করা যায়।
এই আগ্রহের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোবটযান কিউরিওসিটি এই গ্রহটিতে পানির সন্ধানের ঘোষণা দিয়ে। তা ছাড়া মহাকাশ নিয়ে নিত্য নতুন সম্ভাবনার কথা এলেও নাসা বরাবরই বলে এসেছে যদি পৃথিবীর বাইরে মানুষ কোথাও অচিরেই বসবাস করতে পারে, তাহলে সেটা হবে মঙ্গল গ্রহ। ২০২৩ মধ্যেই মঙ্গলে স্থায়ী বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা গোপন নয়। মঙ্গলে স্থায়ী বসবাসের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সেখান থেকে ফেরা নিয়ে গভীর সংশয়। মঙ্গলে বসবাসের স্বপ্ন পূরণের জন্য বহুল আলোচিত নেদারল্যান্ডসের জ্যোতির্বিজ্ঞানবিষয়ক প্রতিষ্ঠান 'মার্স ওয়ান' থেকে কিংবদন্তি মার্কিন জ্যোতির্বিদ কার্ল সাগানের পুরকল্পনা সত্যিই আশা জাগায়।
সাগানের সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ২০২৩ সাল নাগাদ চারজন নভোচারীকে মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর পরিকল্পনাসংবলিত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে মার্স ওয়ান। তিনি মঙ্গলে একটি উপনিবেশ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলকে মানুষের বাসের উপযোগী করে তোলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্যই মঙ্গলে পাঠানো হবে ওই চারজন নভোচারীকে। বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকতে তারা যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে গবেষণা করবে তা হলো মঙ্গল গ্রহে থাকা সময়ে মানবদেহকে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় সেখানকার মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। সব হিসাব মিললেই অচিরেই বসবাসের জন্য যাত্রা হবে মঙ্গলের দিকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।