আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টাইম ট্রাভেলিং

সময়ে পরিভ্রমণের কথা যুগে যুগে করে এসেছে মানুষ। এ স্বপ্ন বাস্তব বলে মনে করেছে সবসময়ই।

আধুনিক বিজ্ঞানও সায় দেয় এতে। তাত্তি্বক পদার্থবিজ্ঞানও বারবার বলেছে কী করে ভবিষ্যতে বেড়াতে যেতে হয়। আইনস্টাইনও সে পথ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।

আলোর কাছাকাছি গতিতে ছুটতে পারলে সময় সময় পরিভ্রমণের অসম্ভব সম্ভব হয়ে যাবে। পৃথিবীর সময়ের চেয়ে ধীরে সময় দেখাবে অমন জোরে ছুটে চলা ঘড়ি। কয়েক বছর আগেই একটি টাইম মেশিন বানিয়ে খবর হয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী আল রাজেকি। বয়স ২৭ বছর। তিনি

এমন এক যন্ত্র তৈরি করেছেন, যা সক্রিয় করতে শুধু আপনার আঙুলের ছাপ প্রয়োজন।

এরপর কতগুলো জটিল অঙ্ক কষে আপনার ভবিষ্যৎ

জীবনে ঘটবে এমন সব ঘটনার একটা তালিকা প্রিন্ট করে দেবে মুহূর্তেই! টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে ওই যন্ত্র সম্পর্কে বলা হয়েছে, 'এটা আপনাকে ভবিষ্যতে নিয়ে যাবে না, ভবিষ্যৎকেই আপনার সামনে এনে দেবে! পার্সোনাল কম্পিউটারের আকৃতির এ টাইম মেশিন আপনার আগামী ৫-৮ বছরের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানিয়ে দেবে ঠিকঠিক। ' এনিয়ে ১৯৯২ সালে হকিং জানিয়েছিলেন, টাইম মেশিন বানাতে চাইলে লাগবে ঋণ-শক্তি (নেগেটিভ এনার্জি)। শক্তির এ অচেনা ধরণ মিলতে পারে কেবল শূন্য দশার (ভ্যাকুয়াম স্টেট) নিচে। এমনকি মাধ্যাকর্ষণের বিপরীত প্রভাবও রয়েছে এ শক্তির।

তা সত্ত্বেও কোয়ান্টাম মেকানিঙ্ অদ্ভুত এ শক্তিকে সমর্থন দেয়, এমনকি এ কথাও বলে, মহাবিশ্বে এ ধরনের শক্তি থাকলেও থাকতে পারে।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, মানুষ যে পরিমাণ ঋণ-শক্তি তত্ত্বীয়ভাবে তৈরি করতে পারি তা খুবই নগণ্য। ' টাইম মেশিন বানানোয় সমস্যা আরও আছে। কোয়ান্টাম ইফেক্টের কারণে অতীতের যে কালেই যাওয়া যাক না কেন, টাইম মেশিন বস্তুত হয়ে পড়বে আত্দধ্বংসী। ' এত কিছুর পরও বিশেষজ্ঞরা হাল ছেড়ে দিতে রাজি তো নয়ই বরং গবেষণা চালিয়ে নিচ্ছে পুরোদমে।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.