যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
নিজের চক্ষে দেখলাম প্রধানমন্ত্রী কেমনে দেশের বারোটা বাজাইলো! কলিগ এক ঘন্টা লেটে আইয়া কেলায়িত দাতে দিনের প্রথম ডায়লগটা মারে। আমি ফাইল থেকে মাথা তুলে জিগাই, দেরী করলেন কেন?
কয়, সকালবেলা নতুন টাইম মনে থাকে না। প্রকৃতি কি আর ঘড়ি ধইরা চলে? আমার যে টাইমে পেটের মধ্যে বাথরুমে যাবার চাপ মারে সেইটা তো হয় পুরান টাইম মাইন্যা, কাজেই দেরী না হইয়া উপায় নাই।
তারপরে নানা কাহিনী কইলো। বুঝলেন, গার্মেন্টসের শ্রমিকগুলা দেখলাম সব ঘড়ি ফেইল করছে।
কাউরে ঢুকতে দিতেছে না, রাস্তায় লম্বা লাইন পইড়া গেছে!
আর কি কি হইলো? মাথা না তুইল্লা জিগাই।
আমার টেবিলের উপ্রে বইসা সে আরো যা কইলো তার মানে হইলো, প্রধানমন্ত্রী দেশের বারোটা বাজাইয়া ফেলছে! কারণ সাধারণ মানুষ নতুন টাইম বুঝতে বুঝতে তিনমাস পাড় হইয়া যাইবে - তখন দেখবে আবার টাইম চেঞ্জ হইয়া গেছে! এই দ্যাশের সাধারণ মানুষ কি ঘড়ি ধইরা চলে নাকি সূর্য্য ধইরা চলে?
দুপুরের পরে আইছে লাফাইতে লাফাইতে। দেখলেন অবস্থাটা?
কি?
ধুরো মিয়া, এখন হইছে মহা-বিপদ! সবজায়গায় দুই টাইম। কেউরে টাইম দিলেই কয়, আগের টাইম না পরের টাইম! আবার পিয়নটা কয় আসল টাইম, আইজ শালায় খাবার দিছে আড়াইটায়।
কেন?
আসল টাইমেই নাকি দিছে, ঐ টাইমেই নাকি আমি খাই! যুক্তিটা শোনেন হালার, কয়, ক্ষুধা কি ঘড়ি ধইরা লাগবে?
মহামুশকিল!
আজকে যে মিটিংটা ছিলো না এগারোটায়? সেইটায় সবাই আইছে বারোটায়! আগের টাইম, নতুন টাইম, আসল টাইম, পরের টাইম মাথাডা পুরা আউলাইয়া গেলো! এখন তো দেখতেছি দুইটা ঘড়ি পড়তে হবে!
কেউ লেট কইরা আইলে অফিস থেকে তার ঐ পরিমাণে লেটে যাওয়ার নিয়ম।
কলিগ দেখলাম আমার লগেই বাইরাইলো। জিগাইলাম কি ব্যাপার? আরো এক ঘন্টা থাকার কথা না?
কলিগ চোখ গোল গোল কইরা বলে, কি বলেন? সকালে একটা ভুল করছি, এখনও যদি সেই ভুল করি তাইলে চাকুরী থাকবে? নতুন টাইমে আইতে পারি নাই, যাইতে তো পারি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।