বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা
দেশে সাংবাদিকদের উপর সত্যি সত্যি কি শনির দৃস্টি পড়েছে? না হলে, সাংবাদিকরা বারবার নিগৃহীত আর নির্যাতিত হচ্ছেন কেন? ড: ইদ্রিস আলী কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে দৈনিক জনকন্ঠে দূর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। স্বভাবতই ইদ্রিস আলী ক্ষেপে যান। ডেকে পাঠালেন দুই সাংবাদিককে। তারপর উততম মধ্যম দেওয়া হলো।
দেশে এখন কোন রাজনৈতিক সরকার নেই। তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যখন দূর্নীতির বিরুদ্ধে সাড়া জাগানো মামলা চলছে, তখন ইদ্রিস আলীদের স্পর্ধা আমাদের অবাক করে দেয়।
আজকের সমকালের রিপোর্টেবলা হয়, "কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে দুই সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করার কারণে তাদের পেটানো হয়। গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সচিব ও কর্মকর্তাদের পিটুনিতে আহত ওই দুই সাংবাদিককে পরে র্যাব উদ্ধার করে।
ঘটনা তদন্তেø শিক্ষা মণ্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (কারিগরি ও মাদ্রাসা) হুমায়ুন খালেদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল দৈনিক জনকণ্ঠে চেয়ারম্যানের দুর্নীতির ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাকে শোকজ করা হয়েছে বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার পর চেয়ারম্যান জনকণ্ঠের বার্তা সম্পদককে ফোন করে সংশিস্ট প্রতিবেদকে দেখা করতে বলেন। বার্তা সম্পদকের অনুরোধে জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মোশতাক আহমেদ নিউ এজ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার সিদ্দিকুর রহমানকে নিয়ে বেলা ২টার দিকে কারিগরি বোর্ডে উপস্থিত হন। মোশতাক আহমেদ সমকালকে বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে বলতে সচিব মোঃ শাহজাহান, পিএস মোঃ মামুনসহ অন্য কর্মচারীরা জড়ো হন।
চেয়ারম্যান ইশারা করার সঙ্গে সঙ্গে দরজা আটকে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। লাঠিসোটা দিয়ে তারা সাংবাদিকদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত। এতে তাদের গায়ের শার্ট ছিঁড়ে যায় ও মাথার বিভিন্ন স্থানে কেটে যায়। এক পর্যায়ে পেটাতে পেটাতে দোতলা থেকে নিচে নামিয়ে আনা হয়। এ সময় তাদের মোবাইল ফোন ও পত্রিকার পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া হয়"।
এরপর কি হবে? ইদ্রিস আলী চাকরি হারাবেন? তদন্তের রিপোর্টে কি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার পর জেল হাজতে পচবেন? খুব সম্ভবত কোনটাই না। পুরোটা নির্ভর করে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কানেকশন অথবা সাংবাদিক জনতার রোষের ও প্রতিক্রিয়ার মাত্রার উপর। এদেশে নিরীহ মানুষ যেমন বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেল খাটে তেমন টাকা পাচারকারী দূর্নীতিবাজদের বিদেশে পাঠিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। মাঝখানে ইদ্রিস আলীদের স্পর্ধা কমবে না, তারা অবলীলায় সাংবাদিক পেটাবেন। কি বিচিত্র সেলুকাস!! শুধু এদেশেই এসব সম্ভব।
নাম তার বাংলাদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।