[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
ইতিহাসই জানায় অতীত। সেই ইতিহাস থেকে জানা অতীত থেকে বুঝেছি যত মহান মহা পুরুষ আলোড়িত করে আমার মনপ্রাণ, চিত্ত, বিবেক, জ্ঞান তাদের অধিকাংশই প্রথাগত একাডেমিক শিক্ষা বিবর্জিত।
হায়! একাডেমিক শিক্ষার পেছনেই দৌড়েছি এত এত কাল । বরবাদ , মহান বুঝি আর হওয়া গেলোনা। দুশ্চিন্তা- কি করে হবো সৃষ্টিশীল ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে যখন পড়ল এই কথা তখনই মনে পড়ল সাথে সাথে, আরে আজ না কবি গুরু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন।
যথাযথ সম্মানে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি প্রথমেই গুরুর ১৪৬তম জন্মদিবসে গুরুকে।
আরে তাইতো কবি গুরুও তো একাডেমিক শিক্ষা স্বেচ্ছায় বর্জ ন করেছেন।
` মহা জ্ঞানী মহা জন যে পথে করে গমন...'
না , ওকথার খেই ধরে এগোনা যাবে না, সেই কবেই তো একাডেমিক শিক্ষার চার ধাপ সযতনে উৎরিয়ে এসেছি। আরও হবে না সাহিত্যে সৃষ্টিশীল হবার পথ অনুসরণ।
কেমন করে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পথে তো ছিল
-তার জমিদারী বংশের ঐতিহ্য , প্রচন্ড ভাব।
-শান্তি নিকেতন, কুঠিবাড়ী এমন অসংখ্য নিবির পরিবেশের হাতছানি, একাকী ভাবের চাষ
- তার সময় ছিল সাহিত্য অঙ্গনে অবারিত শূণ্য স্থান, জ্ঞাপ পূরণের চোরাবালির আকর্ষন রূপ চাহিদা
-ছিল কবির তরে কত নারীকূলের ভালবাসা, প্রেম আবেগ, ভাবাবেগ, সখ্যতা
-ছিল সময়ের প্রবল দাবী
-ছিল সৃষ্টিকর্তার অকৃত্রিম উপহারও
ও পথ পাবো কই তাই, হায়! সাহিত্য জগতে তাই তো পূর্ণ অযোগ্য এক অর্বাচীন আমি।
তবুও কথা থাকে, কবি গুরুর সাহিত্য অঙ্গনের সর্বত্র এবং সর্বদিক ব্যাপি যে কর্ম , যে সৃষ্টি তার থেকে ছড়াচ্ছে আজও যে মিষ্টি সুবাতাস প্রতিনিয়ত তার সুবাসে মাতোয়ারা হয়ে নিশ্চয় কিছু রচনা করা প্রয়াস তো পেতেই পারি।
আসলে তাই।
আমাদের বাংগালী সত্ত্বার মহা প্রেরণা কবি গুরু।
` আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত পাখী গায়...'
গুরুও সেই গানের মতো এখনও বসন্ত আসে, এখনও ফুল ফোটে, পাখি গায়। কবির সেদিন আকুতি ছিল , চিরকালের সত্য সুন্দর প্রকাশ ছিল; আমরা তাই আজও সেই অনুভূতি প্রকাশের স্বপ্ন দেখার সুযোগ পাই গল্প কবিতায়।
রবি ঠাকুরের ঐ যে সেই ছোট গল্পটা - এক বালিকা বধূ তার শহরে পড়তে যাওয়া স্বামী টির কাছে চিঠি লেখে আর লেখে কিন্তু সে জানে না চিঠি যে পোষ্ট করতে হয়, সেখানে যে সরলতা এক বালিকার চরম ভালবাসায়, যে সূক্ষ্ম মানব অনুভূতির আলোড়ন তা আমার মতো এক পাঠক কে যে তীব্র অনুভূতির দোলায় ঝড়ো গতির দুলুনি দিয়েছে তার গতি প্রাণে প্রাণন্ত হয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে - ইস্! ঐদি ওরকম অনুভূতি জাগানোর মতো একটা ছোট গল্প লিখতে পারতাম, অন্তত একটা কেবল। পারবোনা , স্পষ্ট জানি।
তবুও ঐ যে -যদি , যদির নদী লেখার সাগরে বাধ্য করে সাঁতরাতে।
গুরু তাই আমার মহা প্রেরণা
গুরু আমার স্বপ্ন চয়নের অনুভূতিতে প্রচন্ড এক তাড়না।
গুরু তাই আমার মহা গুরু
গুরু তোমার কবিতা পড়েই কবিতা আমার শুরু।
শুভেচ্ছা তাই তোমায় নাতো জানাব কাকে হে গুরু রবি
তুমিই তো এই মনপ্রাণে মোর মুগ্ধ বিশ্ব কবি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।