আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি
২ মে রাত সাড়ে ১২ টা। আড্ডা শেষে রুমে ফিরবো। এমন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে চোখে পড়লো জটলা। ভালো করে চোখ ফেলতেই বুঝে নিলাম ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরা আসছেন এদিকে। এতো রাতে এদিকে কেনো? জানতে এগুলাম সেদিকে।
কাছে গিয়ে দেখি কয়েকটা ব্যাগ সবার হাতে। মাঝে বাংলাদেশ টুডের এমদাদ ভাই শুকনো মুখে। মনে পড়লো আজ তো এমদাদ ভাইয়ের রাজশাহী ছাড়ার কথা। মনটা বিষন্নই হয়ে উঠলো। আবেগে বুকে টেনে নিলেন তিনি।
অনেকক্ষণ কথা হলো। অনেকদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। সেসব দিনের স্মৃতির কথা হলো।
পরিবেশ স্বাভাববিক রাখতে প্রসক্লাব সভাপতি রকিব ভাই, বেলাল ভাই, আতাউর সবাই মজার মজার কথা বলছিলেন। কিন্তু ১ টার দিকে যখন বাস চলে এলো সবাই তখন নিশ্চুপ।
চোখ অনেকেরই ভেজা। হাত নেড়ে বিদায় নিলেন এমদাদ। চলে গেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সাংবাদিক এমদাদুল হক।
সবার সাথে কথা শেষে যখন রুমে ফিরছি তখন মনে হলো আর তো মাত্র কটা বছর। আমাকেও এভাবে বিদায় জানাবে সবাই।
পড়ার পাঠ চুকিয়ে ছাড়বো ক্যাম্পাস। তখন কি কেউ আমার মতো ঢাকাগামী গাড়ির দিকে তাকিয়ে ফেলব চোখের জল?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।