মৌলভীবাজার শহরটা চমৎকার। মনু নদী এ শহরটাকে আরো সুন্দর করেছে । শহওে ভাল ভাল হোটেল গড়ে উঠেছে। ভাল মার্কেট। এক কথায় যে কোনো জেলা শহরকে হার মানায়।
শহওে পথে পথে বেশ সুন্দও সুন্দও নারী পুরুষের দেখা মেলে। একটা মেয়েকে দেখে আমি টাসকি খাইছি। আমাগো গরীব দেশে এই ফিরিঙ্গি মেয়ে কোত্থে। খানিকটা ইতিহাস মনে পড়ায় আস্তস্থ হই। এক সময় মধ্য এশিয়া থেকে দলে দলে ভাগ্যন্নেষণে ফকির দরবেশরা এদেশে আইসা ভীড় জমাইছিল।
সিলেট বিভাগে বেশী। মেয়েটাকে দেখে আমার মনে হল মধ্য এশিয়ার কোনো দেশ থেকে আসা অরিজিন। এলেখার নাম সমগ্র নহে একারণে যে মৌলভীবাজারের সব মহকুমায় আমার যাওয়া হয়নাই। সব মানে শুধু বড়লেখায় যাওয়া হয়নাই। শ্রী মঙ্গল, কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া গেছি।
শ্রী মঙ্গল তো থানা শহর তবে যে কোনো জেলা শহরের সাথে পাল্লা দিতে পারে। ফিনলে চা বাগানের ভেতর দিয়ে হেটেছি অনেক। ঘুরপথে যাই নীলকন্ঠী চায়ের দোকানে। গুজব শুনে যাওয়া। পাচ কালারের চা না খাইয়া আইলে অনেকেই আমারে আস্ত রাখতোনা।
তার মধ্যে ঝড়ো নাম্বার ওয়ান হেয় ফোন কইরা কয় চা খাইয়া আহেন। এটা তেমন আহামরি কিছু না। খেয়ে যেটা মনে হল চিনির সিরা, ইসুপগুল, ধন্যগুড়া, ছালবাটা আর চাপাতার সমন্বয়। ইসুপগুল স্তর গুলারে ধইরা রাখছে অনুমাণ করি। রেল ষ্টেষন হইয়া শহরে আসি।
আমির ভাই আলী প্রাণরে ডেকে আনে। তিনজন মিলে সিতেশ বাবুর ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা দেখতে যাই। শাদাবাঘটা সুন্দর। বাদরদের সঙ্গম সুন্দর তয় বানর মামারাও সঙ্গমের সময় লোকজন সহ্য করেনা।
কমলগঞ্জের ভেতরে আদমপুর যাবার সময় মনিপুরীদের দেখে অবাক হই।
এত সুন্দর এরা। এক কিশোরীকে দেখেতো আমার বুকে কম্পন জাগে। আমি বেহুশের মত তার দিকে তাকিয়ে থাকি। পরে তার সাথে কথা কই। কি কইছি কমু না।
কুলাউড়া যাবার সময় দুইপাশের চা বাগানের ভিতর দিয়া চমৎকার রাস্তা। সব মিলিয়ে মৌলভীবাজার ভাললাগা একটি শহর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।