আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বইপাগল: কোলাপ্স ... সব কিছু ভেঙে পড়ে

সুন্দরী বালিকাদের যত্ন করে কামড়াই

বই বা বউয়ের সানি্নধ্য শয়নে মধুরতর ... বলেছেন হিমু। চামে একটু নিজের ঢোলে দুইটা বাড়ি দিয়ে নিলাম। বুঝতেই তো পারেন। গরীবের আত্মমার্কেটিং। নিজেকে যদি নিজে বেচতে না পারি তো অন্য কেউ এসে বেচে দিবে।

বউয়ের অবর্তমানে বইকে নিয়েই শুতে যাই, কিন্তু ইদানীং খুব দৌড়ের উপর আছি। শুলেই ঘুমিয়ে পড়ি। কপাল ভালো, বউ নাই। বাধ্য হয়েই এখন বসে পড়ি। চলার পথে গাড়িতে বসে পড়ি বেশিরভাগ সময়।

খারাপ লাগে না। ঘন্টায় একশো কিলো গতিতে ছুটতে ছুটতে যেন একশো কিলো গতিতেই পড়ছি জ্যারেড ডায়মন্ডের কোলাপ্স। পড়া এখনো চলছে, কিন্তু মাঝপথেই লিখতে ইচ্ছা করছে একটা কিছু। জ্যারেড ডায়মন্ডের গানস, জার্মস অ্যান্ড স্টীল নিয়ে একটা কিছু লিখেছিলাম, কোলাপ্স হচ্ছে ঐ বইটার উল্টো পথে চলে লেখা। কয়েকটি বিশেষ সমাজ কেন ধ্বংস হয়ে গেলো, কেন কয়েকটি বিশেষ সমাজ ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরে আজ উন্নতবিশ্বের কাতারে দাঁড়িয়ে, কোন বিশেষ কারণগুলো একটা সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে, এমন সব ব্যাপার নিয়েই বইটা লেখা।

শুরু হয়েছে ইস্টার দ্্বীপ দিয়ে, তারপর একে একে আনাসাজি, মায়া, উত্তর আটলান্টিকের নরওয়েজীয় বসতি, গ্রীনল্যান্ডে স্ক্যান্ডিনেভীয় ও ইনুইত সমাজ, রুয়ান্ডার গণহত্যা, হিসপানিওলা দ্্বীপের দুপ্রান্তে দুই বর্তমান নিয়ে হাইতি আর দোমিনিকান রিপাবলিক, সবশেষে চীন। এরই এক ফাঁকে সফল তিকোপিয়া আর তোকুগাওয়া আমলের জাপানের সাফল্যের কথাও এসেছে। জ্যারেড ডায়মন্ডের লেখা পড়তে ভালোবাসি, কারণ এই ব্যাটা প্রশ্ন জাগিয়ে তোলে মনের মধ্যে। কেন এমন হলো, কেন অন্যরকম হলো না, এ প্রশ্নগুলোর উত্তরই খুঁজে পাই তার লেখায়। এর আগে গানস, জার্মস অ্যান্ড স্টীল থেকে টুকে কিছু লিখবো ভাবছিলাম, কিন্তু সময় পাচ্ছিলাম না।

কোলাপ্স থেকে টুকে কিছু লেখার কড়ারও করছি আগের মতোই। বিশেষ করে ইস্টার দ্্বীপ আর রুয়ান্ডা নিয়ে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।