এক ছাত্রীর অভিভাবক বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। তবে অভিযোগের মুখে থাকা প্রভাষক এ কে এম আনিসুজ্জামান তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী সেলে অভিযোগকারী ওই অভিভাবক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই শিক্ষক এখন অভিভাবকদের ফোন করে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলছেন এবং শিক্ষার্থীদের নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন। ”
নিপীড়নবিরোধী সেলের সদস্য অধ্যাপক রশীদ হারুন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্তাধীন বলে বিষয়টি নিয়ে এখন কথা বলা ঠিক হবে না। ”
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আনিসুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি তো এই প্রথম শুনলাম।
“বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেক কিছুই ঘটে, আপনার উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই,” বলেন তিনি।
এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা দাবি করে তিনি আনিসুজ্জামান বলেন, “অভিযোগ যদি হয়েও থাকে কয়েকদিন অপেক্ষা করুন, সব জানতে পারবেন। ”
দেড় দশক আগে দেশের একমাত্র এই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে তা নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনের মুখে তখন কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার ছাত্রত্ব বাতিল হয়।
ওই আন্দোলনে দাবি ওঠার পর বিভিন্ন সংগঠনের তৎপরতার প্রেক্ষাপটে হাই কোর্টের এক আদেশে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌননিপীড়নিবিরোধী সেল গঠনের আদেশ হয়।
১৯৯৮ সালের আন্দোলনের কয়েক বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।