আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে একদিন



অন্ধযুগে ফিরে গেছিলাম, না মানে মনে হয় প্রস্তরযুগে চলে গেছিলাম। নাকি তারো পেছনে, একদিনের জন্য। এখন লিঙ্কটা পাচ্ছি না, তবে কিছুদিন আগেই পৃথিবীর বড় শহরগুলোর মাঝে, লন্ডন প্রথম হয়েছিল, ইন্টারনেট ব্যাবহারের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক শহর হিসাবে। সে দুঃখ পরে জানাবো, তবে বেশ সহজলভ্য এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট দিয়ে এই শহরটা এখনো আমাকে বিভূঁইয়ে আটকে রেখেছে। এখানকার এডিএসএল (ফোনের লাইনের মাধ্যমে ফোনকে ভ্যাজাল না করেই ইন্টারনেট) এর মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট ব্যাবহার করি।

গত দুই বছর ধরে একই কোম্পানীর লাইন ব্যাবহার করছি, কোন ঝামেলা করেনি, হটাৎ করে গতকাল দুপুর থেকে ইন্টারনেট নাইক্কা। নাই মানে একেবারেই নাই, ফোনের লাইন ঠিক আছে, মোডেমে অসুবিধা নাই, তার টার সব চেক করেও দেখি উন্নতির কোন লক্ষণ নাই। লাইন যেহেতু বাড়িওয়ালার নামে, তাই আইএসপিকেও ফোন করে লাভ নাই, আর মনে করলাম একদিন নিজে চেষ্টা করে দেখি। তাই যখন মাঝরাতের কাছাকাছি হয়ে গেল তখন বুঝলাম কি বিশাল ফ্যাসাদে আছি। সময় কাটানোর কোন উপায় নাই, আর হাজার হাজার মহা জরুরী ইমেইলের কথা মনে পড়া শুরু হল।

লন্ডনে গভীর রাত, তাই ভাবলাম বিদেশে আত্মীয়স্বজনকে ফোন করি, সেখানেও দেখি সব ফোননম্বর অনলাইনে সেভ করা আছে। শেষে রাগে দুঃখে গোঁসা করে গভীর রাত পর্যন্ত বসে থাকলাম। এক দিনের ঠ্যালায় প্রায় শয্যাশায়ী হবার অবস্থা। আজকে সারাদিন বাইরে বাইরে কাটালাম, যারা আমাকে দাওয়াত দিয়েও খোঁজ পায়না, তাদের ওখানে গিয়ে বিরাট খোশগল্প লাগালাম, অবশ্যই কীবোর্ড আর মাউস আমার দখলে রেখে। রাত প্রায় দশটার সময় ফেরত আসলাম।

অবশেষে শান্তি, সকালে ব্রিটিশ টেলিকমের কাছে ঘ্যানঘ্যান করার ফল পেলাম। রুটারের ভিতরে গিয়ে দেখি মহারাজ স্ট্যাটাস দেখাচ্ছেন কানেক্টেড। মেশিন রিস্টার্ট দিতেই, অনলাইনে স্বাগতম। যেই একদিন পৃথিবী থেকে দূরে ছিলাম, তাতে অনেক কিছুই দেখি পালটে গেছে। দুটো খবর দেখলাম, বাংলাদেশের আনন্দের জোয়ারের সাথে সাথে কষ্টকর।

এক হল বব উলমারের হটাত মৃত্যু। ক্রিকেটে আধুনিকতার অন্যতম জনক মনে হয় এই হতাশার দূর্বিষহ ধাক্কা কোনভাবেই সামলাতে পারেননি, তবে অকর্মণ্য বার্ধ্যকের চেয়ে হয়ত ৫৮ বছরের তরুণের মৃত্যুই হয়ত তার কাছে শ্রেয় ছিল। দ্বিতীয়টি হল ইনজামামের একদিনের খেলা থেকে অবসর। আমার দেখা অসাধারণ খেলোয়াড়দের মধ্যে একজনের পেশাদারী জীবন থেকে মৃত্যুঘন্টার প্রথম করাঘাত। অত্যান্ত অনির্ভরশীল প্রতিভাবান দলটির হাতেগোণা যে কয়জন খুঁটি গেড়ে সবসময় ভাল খেলা উপহার দিয়েছেন, তাদের মাঝে ইনজামামের মত তেমন কেউ মনে হয় আর নাই।

শিশু খেলোয়াড় হিসাবে বিশ্বকাপে অভিষেক, আর রাজকীয় ক্যারিয়ারের এরকম সমাপ্তি হয়ত প্রাপ্য ছিল না। তবে সাধারণ নোংরামী আর রাজনীতি থেকে দূরে থাকা, মাস্টারক্লাস এই ব্যাটসম্যানের খেলা আমরা অনেকেই মিস করব। তবে আমাদের বিজয়ের গৌরবদীপ্ত পতাকার পাশে পাকপরাজয়ের খবর আমাদের সাফল্যের ষোলকলা পূর্ণ করে দিল। এখন বারমুডারে ইন্ডিয়া যেই ছ্যাচা দিল, তাতে মনে হয় শ্রীলঙ্কা ইন্ডিয়ারে একটা ধাক্কা না দিতে পারলে আমাদের কপালে সমস্যা আছেঃ(


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।