আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজয়ের পেছনের নায়কেরা

দর্শক আমি

আমাদের জয়ে আমরা সবাই খুশি। কিন্তূ এর অন্তরালে রয়েছে একটা সুন্দর পরিকল্পনা, দারুণ একটা প্রচেষ্টা, একটা র্দুদান্ত টিমওর্য়াক। আমাদের জয়ের পেছনে পুরাটা জুড়ে আছে তরুণদের জয়জয়কার। এই তরুণরা কিন্তূ একটা দারুণ টিমওর্য়াকের ফসল। এই টিমে আছেন সাবেক বিসিবি সভাপতি ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ সাবের হোসেন চৌধুরী থেকে শুরু করে সদ্যবিদায়ী ডেভেলাপম্যান্ট কমিটির প্রধান আরাফাত রহমান।

সাবের হোসেন যদি এই উদ্যোগটা না নিতে আর আরাফাত রহমানরা যদি এইটা চালিয়ে না নিতে এইদিন আসত কিনা সন্দেহ আছে। তাই সাবের হোসেনরা ধন্যবাদ পেতে পারেন। তবে এই পুরো পরিকল্পনাসহ বাংলাদেশের ক্রিকেটকে একটা সুবিন্যস্ত কাঠামোতে নিয়ে আসার জন্য তিন বিদেশীকে আমাদের অবশ্য স্মরণ করতে হবে। ১। এডি বারলো ২।

রিচার্ড ম্যাকিন্স ৩। ডেভ হোয়াটমোর !@@!575899 !@@!575900 - এই ক্রিকেটপাগল সাউট আফ্রিকান মানুষটি বাংলাদেশকে অনেক আপন করে নিয়েছিলেন অতি অল্পসময়ে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সাজিয়েছেন এক অর্পূব সুন্দর কাঠামোতে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এক পেশাদারী কাঠামোতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয় এডি আসার পর। এবং রোলমডেল হিসেবে অস্টেলিয়াকে বেছে নিয়ে যে ভুল করেনি তা আজ প্রমাণিত সত্য।

কিন্তূ দূঃভাগ্যের শিকার হয়ে এডি কে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের কারণ তিনি কোচের দায়িত্বপালনে অপারগ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তূ তার অন্তরে বাংলাদেশ ছিল সবসময়। পক্ষাঘাত আক্রান্ত হয়ে ও মাঠে আসেছিল বাংলাদেশের বিজয় খেলা দেখতে। তাই স্মরণ করছি আমাদের আপন এই মানুষটি, আল্লাহ তাকে যেন শান্তি দেন।

রিচার্ড ম্যাকিন্স - বাংলাদেশি মিডিয়ার সাথে এই ভদ্রলোকের কেন যেন মিলত না। তার সব কিছুতে কিছু না কিছু খুত খুজতে ব্যস্ত থাকত আমাদের মিডিয়া। হয়ত মিডিয়ার সমালোচনা ভাল হয়েছে না হলে আমাদের আর একজন কোচ গর্ডন গ্রীনিজ (খেলোয়াড় হিসেবে তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি)কে দেখতে হত। আমার কাছে মজার সমালোচনাগুলোর মধ্যে আছে - বরফ ট্রিটমেন্ট, বিদেশী শক্তিবর্ধক ড্রিক, বোলারদের জন্য বিদেশী দামী জুতা ইত্যাদি। যাক সে কথা, রির্চাড ছিলেন আমাদের Under-19 দলের কোচ।

কিন্তূ তিনি ছিলেন বিসিবির ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রামগুলোর অন্যতম high performance প্রোগ্রামের প্রধান। এডি বারলোর পরিকল্পনার অস্টেলিয়া মডেলের অনেক কাজ সম্পন্ন করেছেন রিচার্ড। কোচ হিসেবে তিনি ছিলেন মাল্টি স্কিলড - কোচিং এর পাশাপাশি তিনি বোলারদের একশনের ভুল শোধরাতে বায়োম্যাকানিক্স এনালাইসিস্ট হিসেবে আইসিসি হয়ে কাজ করতেন। রাজ্জাকের বোলিং এক্যাশন শোধরাতে তার ভুমিকা ছিল প্রধান। কম্পিউটার এনালাইসিস্ট ও ছিলেন।

আজ বাংলাদেশের জয়ে তার কথা স্মরণ করছি কারণ আজকের বিজয়ের রুপকার - সাকিব, মুশফিক আর তামিমদের এমন মানসিকতা গড়তে রিচার্ডের অবদান অনেক। বাংলাদেশের হয়ে যাওয়া ট-19 সবার আশা ছিল বাংলাদেশ কাপ জিতবে, কিন্তূ বাংলাদেশ প্লেট জিতার পর তিনি বলেছেন তাকে যেন সময় দেয়া হয় এবং তিনি লংট্রাম ফলাফলের কথা চিন্তা করছেন। আজকের শাহরিয়ার নাফিস, আফতাব আহমেদ, তালহা জুবায়ের, শাহাদাত হোসাইনরা সবাই ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রামগুলোর ফসল। তাই এই সুদিনের কিছু আনন্দ ম্যাকিন্সের ও প্রাপ্য। হেটস আপ টু রিচার্ড!! ম্যাকিন্স এককাজ করছেন অস্টেলিয়া ক্রিকেট দলের পারর্ফমেন্স এনালাইসিস্ট হিসেবে।

!@@!576198 ডেভ হোয়াটমোর - ডেভের কথা তো সবাই জানেন। গত বিশ্বকাপের আশাহত হওয়ার অনেকটা তিনি পুষিয়ে দিয়েছিলেন দায়িত্ব নিয়েই অস্টেলিয়া, পাকিস্তান সফরে। ভালবাসার ডেভের জন্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.