সুন্দরী বালিকাদের যত্ন করে কামড়াই
মার্চ 8, ভোর 5টা।
প্রিয় ডায়রি,
শৈশবে ভূগোল বই খুলে শিখেছিলাম, পৃথিবীর তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্থল। আজ টয়লেটে বড় কাজ সারতে গিয়ে দেখি, একই কথা খাটে আমার গুয়ের বেলাতেও। তার তিন ভাগই সলিলস্রোতধারা, মেরেকেটে এক ভাগের মতো পদার্থ হয়তো আছে। শরীরটা জুত ঠেকছে না।
আপাতত বন্ধ করি।
মার্চ 10, রাত 1টা।
প্রিয় ডায়রি,
ভেবেছিলাম মেট্রোনিডাজল দিয়ে সব সমস্যা গলে একেবারে জল হয়ে যাবে। বাস্তবে হয়েছেও তাই। মেট্রোনিডাজল কোন কাজের কাজ করতে পারেনি।
একেবারে মুষলধারে হেগে এলাম। কী খেয়ে আজ আমার এ হাল হলো? নাকি কোন বালিকা বদদোয়া দিলো? ওফফফফ, থামতে হবে, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে ... আবার যাই।
মার্চ 11, রাত 9টা।
প্রিয় ডায়রি,
একটা গান খুব মনে পড়ছে।
"আষাঢ় শ্রাবণ
মানে না তো মন
ঝরঝর ঝরঝর ঝরেছে ...।
"
গানটায় মনের জায়গায় অন্য কিছু বসালে আমার ডায়রিয়ার সাথে বেশ খাপ খেয়ে যায়, কিন্তু অশ্লীলতা, তা-ও নিজের ডায়রির সাথে? কভি নেহি! তারচেয়ে বরং আরেকটু দিয়ে আসি ... ওরে রোককে! থাম থাম, এখনি না, রয়েসয়ে!
মার্চ 12, বিকাল 3টা।
প্রিয় ডায়রি,
তুমি কি কখনো স্যালাইন খেয়েছো? জানো কী মধুর তার স্বাদ?! এ যেন একেবারে সমুদ্রমন্থন করে বার করা অমৃতের চাঙ্গায়নী সুধা! ওরে কে আছিস, এক জগ স্যালাইন দিয়ে যা!
মার্চ 12, রাত 11টা।
প্রিয় ডায়রি,
আমি আর কখনো তেলেভাজার দোকানে পরটা দিয়ে মুরগির গোস্ত খাবো না। শুধু তা-ই না, আমি আর সিঙ্গারাও খাবো না। ডালপুরি বা আলুপুরি? আরে ছোহ, ঐসব কি মানুষে খায়? রইস ঘরানার রেস্তোরাঁতেও বুফেতে গান্ডেপিন্ডে খাবো না, যেমন সেদিন কাঁকড়া খেয়েছিলাম! তুমি বলতে পারো, আজকের এন্ট্রি কেন পেনসিল দিয়ে লেখা, কেন কলম দিয়ে নয়।
আমাকে এভাবে অবিশ্বাস করলে কি তোমার পোষাবে? আর আমি কেন পরে ইরেজার দিয়ে এসব লেখা মুছে ফেলবো, বলো?
মার্চ 13, দুপুর 2টা।
প্রিয় ডায়রি,
এই কয়টা দিন বড় কষ্ট গেছে। কাত হয়ে বসে যা লেখার লিখছি। বসতেও কষ্ট, হাঁটা চলা তো দূরের কথা। আর এই কয়দিন এত বেশি বসা হয়েছে যে আর বসতে মন চায় না।
আগামী কয়েকদিন আর কিছু লিখবো না ভাবছি। একটু বিশ্রাম দরকার। গুয়ের ভূতাত্তি্বক প্রোফাইল এখন হাওরাঞ্চল ছেড়ে বরেন্দ্রভূমির দিকে রওনা দিয়েছে। আর কী লিখি? পরোটা খেতে ইচ্ছা করছে মুরগির গোস্ত দিয়ে। ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।